Lybrate Logo
Get the App
For Doctors
Login/Sign-up
Last Updated: Dec 06, 2022
BookMark
Report

এইডস কিভাবে হয়ঃ

Profile Image
Dt. RadhikaDietitian/Nutritionist • 15 Years Exp.MBBS, M.Sc - Dietitics / Nutrition
Topic Image

ইহা সত্য যে মৃত্যু কোন কারণে আসে এই কারণগুলোর মধ্যে একটি সাধারণ কারণ হলো অসুস্থতা। আমরা সবাই একবারই জীবন পাই, যাকে আমরা আরো উন্নত এবং লম্বা বানানোর জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করি কিন্তু জীবন এবং মৃত্যু এর দোলায় অসুস্থতা এর তলোয়ার সবসময় ঝুলে থাকে। সেই জন্য আমরা অসুস্থতা থেকে সতর্ক হয়ে সেটিকে দূর করার বা জয় পাওয়ার জন্য চেষ্টা করি যার ফলে নিজেদের বয়স এবং স্থিতি বৃদ্ধি পেয়ে যায়। কিন্তু এই কথায় আমাদের নজর রাখতে হবে যে কিছু অসুস্থতা থেকে লড়াই করেও আমরা বাঁচার আশা হারাই না কিন্তু কিছু অসুস্থতা এমন হয় যা আমাদের মারার আগেই আমরা দিনের পর দিন মানসিকভাবে মরতে থাকি। আজ এই লেখায় আমি এরকম একটি অসুখের ব্যপারে জানাবো যা মৃত্যু ডেকে আনে। আপনাকে জানাবো যে এইডস কিভাবে হয় এবং এর কারণ কি। এইডস একটি প্রচন্ড ভয়ানক এবং মারাত্মক অসুখ এর নামে পরিচিত। এই অসুখ যদি কোন মানুষের হয়ে যায় তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। যদি কেবলমাত্র ভারতকে বিচার করা হয় তাহলে প্রায় ৮০ হাজার এরও বেশি মানুষের মৃত্যু এইডস এর জন্য হয়ে থাকে। তাই এর থেকে বাঁচার জন্য আমাদের জানতে হবে এইডস কী এবং তা কীভাবে হয়?

এইডস কী

এইজ অর্থাৎ অর্জিত প্রতিরক্ষা নাশক রোগ সমূহ যার অর্থ এই যে এইজ মানুষ জাতির মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয় না বরঞ্চ মানুষ জাতিতে নিজের কিছু কাজের জন্য এসে থাকে। ইহা একটি সংক্রামক রোগ যা এইচ.আই.ভি.(ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) নামের জীবাণু এর সংক্রমণের কারণে হয়। যখন এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে তখন রক্তে পৌঁছে শ্বেত রক্তকণিকায় উপস্থিত ডিএনএ তে পৌঁছে বিভাজিত হয়ে যায় এবং রক্তের সাদা কনাতে আক্রমণ করে। ধীরে ধীরে ইহা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কম করে দেয়। যার কম অথবা সমাপ্তি সাথে সাথেই শরীরে রোগের থেকে নড়ার প্রতিরোধক ক্ষমতা সমাপ্ত হয়ে যায়। এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরে সমাপ্ত হয়ে যায় না। আর এই পরিস্থিতিতে এইডস বলা হয়।

এইডস দুটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে, এইচআইভি ১ এবং এইচআইভি ২।

  • এইচআইভি ১ পৃথিবীতে সবথেকে বেশি পাওয়া ভাইরাস, আর এইচআইভি ২ পশ্চিম আফ্রিকাতে পাওয়া যায়।
  • এই দুটো ভাইরাস রেট্রোভাইরাস প্রজাতির এবং নিজের ডিএনএ মানুষের ডিএনএর সাথে মিশিয়ে দেয় এবং সারা জীবন ওই মানুষের ডিএনএ এর সাথে ঠেকে যায়।
  • বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের শরীরে প্রাপ্ত এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে বাঁদরের প্রজাতি থেকে এসেছে কারণ বাঁদর থেকে পাওয়া এইচআইভি আর মানুষের শরীরে পাওয়া এইচআইভি অনেকটা একই রকম।
  • ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ এর মাঝে প্রথম বার মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যায়। এটি বানা হয়েছে বাঁদরের মাংস খাওয়া কিছু আফ্রিকান আদিবাসী এর মধ্যে এই রোগের সন্ধান পাওয়া গেছিল এবং এর থেকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
  • ভারত এইডস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে তৃতীয় বড় দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

এটি জানা জরুরী যে এইচআইভি ছোঁয়ার ফলে ছড়িয়ে পড়ে না। ইরাক কেবলমাত্র শরীরের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ যেমন থুতু, রক্ত এবং যৌন সঙ্গমের সময় বের হওয়া সিমেনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এইচআইভি এর সংক্রমণের কারণ

  • ভ্যাজাইনাল, অ্যানাল এবং ওরাল সেক্স

    এইচআইভি/এইডস এর দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অসুরক্ষিত যৌনসঙ্গমের ফলে ভাইরাস আপনার শরীরে চলে আসে। এই ভাইরাস কারো শরীরে চুম্বনের দাড়াও আসতে পারে কিন্তু এর সম্ভাবনা কম থাকে কারণ থুতুতে থাকা এইচআইভি ভাইরাস দুর্বল থাকে এবং চুম্বন করবার সময় কম করে ১ থেকে ২ লিটার থুতু একে অপরের দেহে এক্সচেঞ হলে তবেই সম্ভাবনা থাকে এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার।

  • মায়ের দ্বারা

    যদি জন্ম দেওয়ার সময় এইচআইভি ভাইরাস মায়ের দেহের থেকে থাকে তাহলে সেই ভাইরাস বাচ্চার শরীরেও আসতে পারে। যদি জন্ম দেওয়ার পরে কোন কারণে মায়ের ভেতরে থাকা এইচআইভি ভাইরাস চলে আসে তাহলে সেই বাচ্চাকে স্তন্যপানের দ্বারাও বাচ্চার মধ্যে আসতে পারে। সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য প্রায় ৩০% বাচ্চার জন্ম থেকেই এইচ আই ভি /এইডস দিয়ে সংক্রমিত হয়ে যায়।

  • ইনজেকশন

    কোন এইচআইভি/এইডস এর রোগীর দেহে ব্যবহৃত করা সুচ কোন অন্য ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করলেও এইচআইভি/এইডস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • শল্য চিকিৎসাশাস্ত্র

    শল্য চিকিৎসা শাস্ত্র অর্থাৎ সার্জিকেল ইন্সট্রুমেন্ট যা সার্জারি করার জন্য ব্যবহার করা হয়, যদি এইচআইভি /এইডস এর রোগীদের শরীরে ব্যবহার করা ইন্সট্রুমেন্ট যদি ভালো করে না ধুয়ে অন্য কোন রোগীর শরীরে ব্যবহার করা হয় তাহলে এইচআইভি/এইডস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • সংক্রামিত রক্ত

    এইচআইভি/ এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বিনা পরীক্ষা করে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে তার থেকেও এইচ আই ভি /এইডস হতে পারে‌।

  • শ্লেষ্মা আবরণ

    শ্লেষ্মা আবরণ যা শরীরের ভেতরের অঙ্গ ঘিরে রাখে এবং সকল ক্যাভিটির সবচেয়ে উপরের স্তর তাতে যদি এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত লেগে যায় তাহলে ওই ব্যক্তির এইচআইভি/এইডস হতে পারে। যমজ যদি কারুর আঘাত লাগে এবং তার আঘাতে কোন ব্যক্তির রক্ত লেগে যায় যাতে এইচআইভি এইডস হয় তাহল যাতে এইচআইভি এইডস থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির রক্তে উপস্থিত এইচআইভি ভাইরাস ওই আঘাতে মিশে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে।

উপরোক্ত কারণ এর এইচআইভি /এইডস ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু এটা দরকার নয় যে এই কারণের জন্য এই রোগ অবশ্যই ভাবে সংক্রমিত হয়ে যাবে। এটি এই ব্যাপার এর উপর নির্ভর করে যে এইচআইভি ভাইরাস কতটা শক্তিশালী। যদি কমজোরি এইচআইভি ভাইরাস কারো শরীরে কোনোরকম ভাবে চলে যায় তাহলে এটি সম্ভব যে ওই ব্যক্তির এইচআইভি/এইডস নাও হতে পারে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে পৃথিবীতে এইচআইভি কে নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে। এই কারণে ইহা জানা জরুরী যে কোন কারনে এইচআইভিছড়িয়ে পড়ে না।

  • পোকামাকড় কামড়ালে
  • কোন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির মূত্র এবং ঘামের মাধ্যমে
  • শৌচালয় অথবা সুইমিং পুলের ব্যবহার করলে
  • এইচআইভি এইডস আক্রান্ত মানুষের তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলে
  • এইচআইভি এইডস রোগীদের ছুঁলে বা একসাথে কাজ করলে
  • এইচআইভি এইডস রোগীদের সাথে এক থালায় খেলে
  • এইচআইভি এইডস রোগীর কারো সামনে হাঁচলে বা হাসলেও এইচআইভি এইডস ছড়ায় না।
chat_icon

Ask a free question

Get FREE multiple opinions from Doctors

posted anonymously
doctor

View fees, clinc timings and reviews
doctor

Treatment Enquiry

Get treatment cost, find best hospital/clinics and know other details