Calaptin 40mg Tablet

ক্যালাপ্টিন ৪০ ট্যাবলেট চতুর্থ শ্রেণীর অ্যান্টি-এরিথমিক যা উচ্চ রক্তচাপ, সুপ্রাভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া, এবং হার্টের মধ্যে অপর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত ​​প্রবাহের কারণে সৃষ্ট বুকের ব্যথাকে দমন করে। ওষুধটি ক্লাস্টার মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধটি রক্ত ​​প্রবাহের জন্য রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে কাজ করে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। আপনার যদি এই ওষুধের কোনও উপাদান থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে এই ট্যাবলেটটি গ্রহণ করবেন না। এছাড়া গর্ভবতী মহিলা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের অবশ্যই এই ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে।

• হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)

• বুকে ব্যথা (Chest Pain)

• অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia)

• এলার্জি (Allergy)

• মাথা ব্যাথা (Headache)

• বমি বমি ভাব (Nausea)

• ক্লান্তি (Fatigue)

• মাথা ঘোরা (Dizziness)

• অস্বস্তি অনুভব করা (Feeling Of Discomfort)

• বদহজম (Dyspepsia)

• পাকস্থলীতে ব্যাথা (Stomach Pain)

• পেরিফেরাল এডিমা (Peripheral Edema)

• কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)

• ত্বকের লালত্ব ভাব (Redness Of Skin)

• মদ্যপান করার সময় এই ওষুধ গ্রহণ করা শরীরের জন্য কি নিরাপদ?

  অ্যালকোহল পান করার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

• গর্ভাবস্থার সময় কি কোন অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত?

  গর্ভবতী মহিলাদের এই ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

• শিশুকে স্তন্যপান করানো মহিলাদের জন্য কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে।

• এই ওষুধ গ্রহণ করার সময় ড্রাইভিং করা বা গাড়ি চালানো কি নিরাপদ?

  গাড়ি চালানোর সময় বা যন্ত্রপাতি পরিচালনা করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা হয়।

• এই ওষুধ কিডনির কার্যকারিতাকে কি প্রভাবিত করে?

  মূত্রাশয় বিকল রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

নিচে একটি ওষুধের তালিকা দেওয়া হল, যে ওষুধগুলির মধ্যে এই ওষুধের মতো একইরকম গঠন, শক্তি এবং বিন্যাস রয়েছে। আপনি এই ওষুধের বিকল্প হিসাবে নিম্নলিখিত ওষুধগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

• ভেরামিল ৪০এম জি ট্যাবলেট (Veramil 40mg Tablet)

  Themis Medicare Ltd

• ভ্যাসোপ্টে‌ন ৪০এম জি ট্যাবলেট (Vasopten 40mg Tablet)

  Torrent Pharmaceuticals Ltd

• ওষুধের মাত্রা বা ডোজ যদি মিস হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  মনে পড়ার সাথে সাথেই মিস হয়ে যাওয়া ওষুধের ডোজটি গ্রহণ করুন। যদি এই ওষুধের পরবর্তী ডোজ গ্রহণ করার সময় হয়ে যায় তাহলে মিস হয়ে যাওয়া ডোজটি আপনি আর গ্রহণ করবেন না।

• এই ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণ করায় কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধটি গ্রহণ করেছেন বলে সন্দেহ করেন তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

ক্যালাপ্টিন ৪০ ট্যাবলেট ভোল্টেজ-নির্ভর ক্যালসিয়াম চ্যানেলগুলির ইনহিবিটর হিসাবে কাজ করে। হৃৎপিণ্ডের এল-টাইপ ক্যালসিয়াম চ্যানেলগুলিতে এই ট্যাবলেটটির প্রভাব ক্রোনোট্রপি এবং ইনোট্রপির হ্রাসের দিকে পরিচালিত করে। এই ওষুধটি রক্তচাপ এবং হার্টের হার কমাতেও সহায়তা করে।

যখনই আপনি একাধিক ওষুধ গ্রহণ করেন, বা নির্দিষ্ট কোন খাবার বা নির্দিষ্ট কোন পানীয়ের সাথে এটি গ্রহণ করেন, তখন ওষুধটি কিছু খাবার ও পানীয়ের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া করতে পারে এবং আপনি ওই ওষুধের পারস্পরিক ক্রিয়ার ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।

test

• অন্যান্য ওষুধের সাথে এই ওষুধের পারস্পরিক সম্পর্ক

  এই ট্যাবলেট ইট্রাকোনাজোল, মেটমর্ফিন, সিমভাস্ট্যাটিন, ক্যালসিয়াম পরিপূরকগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

• নির্দিষ্ট কিছু রোগের সাথে এই ওষুধের পারস্পরিক সম্পর্ক

  এই ওষুধ লিভার রোগের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

• Ques : ক্যালাপ্টিন ৪০ ট্যাবলেট কী?

  Ans : এই ট্যাবলেটটি এমন একটি ওষুধ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত যার মধ্যে ভেরাপামিল প্রধান উপাদান হিসাবে উপস্থিত রয়েছে। এই ওষুধটি উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্যালাপ্টিন ওষুধটি কার্ডিয়াক রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণ করে।

• Ques : এই ওষুধের ব্যবহার কী?

  Ans : ক্যালাপ্টিন ৪০ এম জি ট্যাবলেট হৃদরোগ এবং মাইগ্রেনের মতো অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধটি হৃৎপিণ্ডের পেশী এবং রক্তনালীগুলিকে আরামপ্রদান করতে সহায়তা করে। ক্যালাপ্টিন ট্যাবলেট উচ্চ রক্তচাপ, সুপ্রাভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া, অ্যানজিনা পেক্টোরিস এবং বুকে ব্যথা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

• Ques : এই ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী?

  Ans : এই ওষুধের বেশ কিছু গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন প্রস্রাবের অসুবিধা, বমিভাব এবং বমি। কোন রোগীদের মধ্যে ঝাপসা দৃষ্টি, ফ্যাকাশে ত্বক, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বুকে ব্যথার মতো যদি কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাহলে এই ট্যাবলেটের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত বা আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

• Ques : কোন কোন চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়?

  Ans : এই ওষুধটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হৃদরোগের মতো অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধটি হৃৎপিণ্ডের পেশী এবং রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করে।

• Ques : আমার অবস্থার উন্নতি দেখতে আমাকে কতদিন এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে?

  Ans : আপনার শারীরিক অবস্থা যতক্ষণ না স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত এই ওষুধটি গ্রহণ করা উচিত। এই ওষুধটি আপনার ডাক্তারের নির্দেশিত সময় অবধি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই ওষুধের সর্বোচ্চ প্রভাব ১ দিন থেকে ৩ মাসের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তবে এই সময়কাল সবার জন্য সমান হয় না। এই সময়কাল বিভিন্ন রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্নরকম হতে পারে। বিশদ জানার জন্য আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং ওষুধ গ্রহণের সময়কাল বা কোর্সটি জেনে নিন।

• Ques : দিনে কতবার ক্যালাপ্টিন ৪০ এম জি ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে?

  Ans : এই ওষুধটি সাধারণত দিনে দুইবার থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হয়। এই ওষুধ ব্যবহার করার আগে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন কারণ ওষুধের প্রভাব এবং ওষুধটি আপনি কতবার নেবেন তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় এবং রোগের অবস্থার উপর নির্ভর করে।

• Ques : খাবারের আগে না খাবার খাওয়ার পরে না খালি পেটে ক্যালাপ্টিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা উচিত?

  Ans : এই ট্যাবলেট মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ওষুধের মধ্যে থাকা সল্টগুলি খাবারের সাথে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। আপনি যদি খালি পেটে এটি গ্রহণ করেন তবে আপনার পেট খারাপ হতে পারে। ওষুধ ব্যবহার করার আগে আপনি একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধটি গ্রহণ করুন।

• Ques : ক্যালাপ্টিন ৪০ এম জি ট্যাবলেট সংরক্ষণ করার জন্য কী কোন নির্দেশাবলী রয়েছে?

  Ans : এই ওষুধে যে সল্ট রয়েছে তা আপনার ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার জন্য উপযুক্ত এবং ওষুধটি সেই তাপমাত্রার উপরে বা নীচে রাখবেন না। যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে ওষুধটি তার ক্ষমতা হারাতে পারে। এছাড়াও ওষুধটি আর্দ্রতা এবং আলো থেকে দূরে রাখুন। এই ওষুধটি শিশুদের নাগাল থেকে দূরে রাখুন। ওষুধের বিরূপ প্রভাব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ গ্রহণ করবেন না।