Lybrate Logo
Get the App
For Doctors
Login/Sign-up
Last Updated: Dec 26, 2023
BookMark
Report

কিডনি সংক্রমণের লক্ষণ

Profile Image
Dr. Sanjeev Kumar SinghAyurvedic Doctor • 16 Years Exp.BAMS
Topic Image

কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । হার্ট দিয়ে পাম্প করারক্তের ২০% কিডনি পরিষ্কার করে । এছাড়া কিডনি বিষাক্ত এবং বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কিডনির সংক্রমণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। বহুবার এটি ঘটে কিন্তু যখন আমরা তা জানতে পারি, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই জন্য আমরা আপনাদেরকে এই রোগের লক্ষনের সম্পর্কে বলবো যাতে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।

  • প্রস্রাবের দ্বারা রক্ত বা প্রোটিন বেরনো

    যখন প্রস্রাবের সাথে রক্ত বেরোয় তখন আমরা সহজেই বুঝে যাই। কিন্তু যখন প্রোটিন নির্গত হয় তখন বুঝতে সমস্যা হয়। এ জন্য নিরন্তর পরিদর্শন চালিয়ে যেতে হবে । উভয় ক্ষেত্রেই আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলুন।

  • কম খিদে পাওয়া বা ওজন কমে যাওয়া

    আমাদের শরীরকে সুস্থভাবে চালানোর জন্য পুষ্টি এবং শক্তি দরকার। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পুষ্টি এবং শক্তি আমরা খাদ্য থেকে পাই।আপনার যদি খিদে না পায় তাহলে সেটা কিডনি সংক্রমণের জন্য হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারকে দেখানো খুব জরুরী।

  • উচ্চ রক্তচাপ

    উচ্চ রক্তচাপ নিজের মধ্যেই একটি সমস্যা। কিন্তু অনেক সময় এটি কিডনির সংক্রমণের জন্য হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, শরীরের ক্ষমতা হ্রাস হবার ফলে অন্যান্য স্নায়ুতন্ত্রের কাজ চালানোর জন্য, হৃদয় দ্রুত রক্ত পাম্প করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, যখন হৃদয় এত বেশি কাজ করে তখন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।

  • চর্মরোগ

    আমরা আগেই বলেছি যে, কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে। কিন্তু যখন কিডনিতে সংক্রমণ দেখা যায়, তখন বর্জ্য পদার্থ গুলি বাইরে বেরোতে পারে না। এর ফলে ত্বকে নানান রকম সমস্যা দেখা যায় বা চুলকানি হয়।

  • ক্লান্তি এবং নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা

    যখন শরীর থেকে সব বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায় তখন কিডনি একপ্রকার হরমোন তৈরি করে যার নাম এরিথ্রোপোয়েটিন। এই হরমোনের কাজ হল লাল রক্ত কণিকায় অক্সিজেন তৈরি করা। যখন কিডনিতে কোন সমস্যা হয়, তখন এরিথ্রোপোয়েটিন তৈরিতেও এর প্রভাব পড়ে। লাল রক্ত কণিকায় অক্সিজেন না পৌঁছালে তখন নিঃশ্বাস গ্রহণে সমস্যা হয়। এর সাথে আমাদের মস্তিস্ক, মাংশপেশি এবং সারা শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একে অ্যানিমিয়া বলা হয়।

  • বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা

    যখন কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখন শরীরে বর্জ্য পদার্থের সংখ্যা বেড়ে যায়। এর ফলে বমি হওয়া এবং মাথা ঘোরা শুরু হয়।এছাড়াও অ্যানিমিয়ার জন্য মাথা ঘোরার সমস্যা কিংবা অবচেতনার সমস্যা দেখা যায়।

  • মাংশপেশিতে খিঁচুনি

    কিডনির সমস্যার ফলে অনেক সময় মাংশপেশিতে খিঁচুনি এবং ব্যথা উৎপন্ন হয়। এই ব্যথা শরীরের বিভিন্ন অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

  • ঘন ঘন প্রস্রাব

    কিডনি সংক্রমণের একাধিক লক্ষণের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া অন্যতম লক্ষণ। এর কারণে আপনার প্রস্রাবের স্রোতে বা প্রস্রাবে নানা পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে রাতের সময়, কারণ সেই সময় প্রস্রাব বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এই ক্ষেত্রে আপনার কম বা বেশি প্রস্রাব হবে এবং হলুদ রঙের প্রস্রাব হবে। এটাও হতে পারে যে, প্রস্রাব করতে সমস্যা হচ্ছে এবং এই সমস্যাগুলি অনেক সময় ধরে রয়েছে।

  • হাতে এবং পায়ে জ্বলন

    এটি কিডনি সংক্রমণকে শনাক্ত করার আরও একটি লক্ষণ। যখন কিডনি সংক্রমিত হয় তখন, শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলি শরীর থেকে বাইরে বেরতে পারে না। যার জন্য শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়।শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত তরল হাত, পা, মুখ এবং গোড়ালিতে জ্বলন সৃষ্টি করে।

  • পরীক্ষা

    শেষ এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিকার হল, আপনি এই লক্ষণগুলির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা করতে পারেন। কিডনি সংক্রমণে কিডনির কার্যক্ষমতার সম্পর্কে জানার জন্য ক্রিয়েটিনাইনের মাত্রা জানা হয়। এর জন্য সাধারণ পরীক্ষা করা হয়। যদিও কিডনি সংক্রমণ সম্পর্কে জানার জন্য প্রস্রাব এবং স্ক্রীনিং দ্বারা পরীক্ষা করা হয়।