ডেঙ্গুর লক্ষণঃ
আবহাওয়া বদলের সাথে নানান ভাইরাল সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যার মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর খুব ভয়ানক রোগ। যদিও ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ হল সামান্য জ্বর, কিন্তু এই সামান্য জ্বর আলাদা হয়। ডেঙ্গুর জ্বরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয়, এবং দুর্বলতার সাথে মাথা ঘোরে।সংক্রমণ বাড়ার সাথে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং আরও লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন- বমি হওয়া, পায়ে ব্যথা, ত্বকে নানা চর্মরোগ ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বর যা ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ, যেটা প্রতিফলিত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে হল প্রচণ্ড জ্বর, বমি হওয়া, বমির সাথে রক্তপাত, প্রস্রাবের সাথে রক্তপাত, পেটে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, নাক এবং মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়া, দুর্বলতা ইত্যাদি। এখানে বিস্তারিত ভাবে দেখুন কোন কোন অবস্থা গুলি ভয়ানক।
- ২০ মাত্রা
ডাক্তারদের মতে, ধমনীতে ২০ বৃদ্ধি, রক্তচাপ ২০ হ্রাস, উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপে ২০ এর থেকে কম বা অন্তর এবং হাতে ২০ এর থেকে বেশি দাগ থাকলে সতর্ক হয়ে যান।
-
জ্বর
ডেঙ্গুর জ্বরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় এবং এটি সংক্রমণের কারণে হতে পারে। জ্বর থার্মোমিটারে ১০২ থেকে ১০৫°ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই জ্বর থাকে। কিন্তু এই জ্বর আবার ফিরে আসতে পারে। তাও আবার আগে থেকে বেশি। এটি ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি।
-
সর্দি যা ভাইরালের লক্ষণ
ডেঙ্গু হলে জ্বরের সাথে হালকা ফ্লু’র লক্ষণও দেখা যায়। এতে মাথা ব্যথা, চোখে ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা এবং পায়ে ব্যথার লক্ষণ দেখা যায়।
-
প্লাজমা নির্গত
প্লাজমা নির্গত হলে ডেঙ্গুতে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে প্লাজমা নির্গতহচ্ছে তা জানা যায়। এটি সংক্রমণ হবার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে হয়। যদি শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে শুরু করে তাহলে সতর্ক হয়ে যান। এছাড়া পেটে ব্যথা, ক্রমাগত বমি হওয়া ইত্যাদি
-
দুর্বলতা
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলি দেখা যায় তবে প্রথমে প্লেটলেটগুলি গণনা করুন এবং রক্তচাপের দিকেও খেয়াল রাখুন। দুর্বলতাও ডেঙ্গুর একটি লক্ষণ।
-
বমি
জ্বরের সাথে ক্রমাগত বমি হওয়া ভয়ানক লক্ষণ। যকৃতে অ্যানজাইমার সমস্যা হলে এটি হয়। এই রকম অবস্থায় ড্রিহাইড্রেশন হয়ে যায়। কিছু খেলে বা পান করলে সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে যায়, তাহলে সতর্ক হয়ে যান।
-
অস্বাভাবিক রক্তপাত
ডেঙ্গুর ভাইরাসের প্রভাব রক্ত তৈরির ক্ষেত্রে পড়ে। যদি ডেঙ্গু জ্বরের সাথে নাক কিংবা মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সতর্ক হয়ে যান। এতে জ্বরের সাথে চোখ লাল হয়ে যায়, তার সাথে গলায় খুসখুসানি এবং জ্বালা জ্বালা করে যা খুব ভয়ানক। প্লেটলেটস কম হওয়ার কারণে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা খুব খারাপ একটি লক্ষণ।
-
ত্বকে দাগ
ডেঙ্গুর জ্বর আসার তিন বা চার দিনের মাথায় ত্বকে লাল রঙের দাগ দেখা যায় যা সামান্য জ্বরের লক্ষণ নয় বরং ডেঙ্গুর লক্ষণ। এই দাগ সর্ব প্রথমে মুখে দেখা যায়।এই দাগ গুলিতে চুলকানি হয় না, ধীরে ধীরে এই দাগ শরীরের অন্যান্য অংশের সাথে পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এইরকম অবস্থায় সচেতন হয়ে যান। কখনও কখনও জ্বর চলে গেলে চুলকানির সাথে দাগ বেরোয়। এই দাগ হাত এবং পায়ের তালুতে হয়, যেখানে অসহ্য চুলকানি হয়।
সাবধানতা
ডেঙ্গুর জ্বর ছড়াবার সময় বিশেষ সাবধানতা গ্রহন করুন। আশেপাশে কোথাও জল জমা হতে দেবেন না।ঘন ঘন জল পাল্টাতে থাকুন এবং পরিস্কারতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। ডেঙ্গু হলে ততক্ষনা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এছাড়া বেশি তরল পদার্থ পান করুন। আরাম করুন এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার খান। ডেঙ্গু হলে নিম, তুলসী, গিলোইয়া, পিপ্পলী, পেঁপে পাতার রস, আম্লকি এবং অ্যালো ভেরার রস পান করুন, এতে লাভবান হবেন। এই সব রস থেকে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং প্লেটলেটসও বৃদ্ধি পায়।