ধাতুক্ষয়ের প্রধান কারণ কি?
যখনই কোনও পুরুষের মনে কামের চিন্তা বা সেক্সের ভাবনা আসে, তখনই তার পুরুষাঙ্গ উত্থিতহয়ে ওঠে ও শক্ত হয়ে যায়। এই সময়ে তার লিঙ্গ থেকে স্বচ্ছ জলের মতো পাতলা একটি তরল নির্গত হয়। এটির নির্গমন কম হওয়ার কারণে এটি লিঙ্গের ভেতর থেকে বাইরে আসে না, কিন্তু পুরুষটি যদি অধিক সময়ের জন্য উত্তেজিত থাকে তাহলে এই তরলটি লিঙ্গের উপরিভাগ, যাকে আমরা ‘মেল জি-স্পট’ বলি, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে।
আজকের যুগে, অনৈতিক চিন্তা ও অশ্লীল ভাবনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক যুবক যুবতী অশ্লীল ছবি দেখে ও পড়ে এবং ভুলভাবে তাদের বীর্য বা ধাতু নষ্ট করে। বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরা মনে মনে অনেক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলে। এর ফলে পুরুষের লিঙ্গ অনেকক্ষণের জন্য উত্তেজিত অবস্থায় থাকে আর ফলাফল হিসেবে এই স্বচ্ছ তরল নির্গত হতে থাকে। এই অবস্থা যখন আরও গুরুতর হয় তখন এমনও হয় যে কোনও মেয়ের চিন্তা পুরুষটির মাথায় এলেই তার লিঙ্গ থেকে তরল নির্গত হয়; এই রোগকে আমরা ধাতুক্ষয় বলি।
যদিও, এই সাদা তরলের কোনও অংশেই বীর্যের উপস্থিতি থাকে না। এই তরলটির কাজ হ’ল পুরুষের যৌনাঙ্গকে যৌনকর্মের সময়ে নরম করা ও ভিজিয়ে দেওয়া যাতে যৌনক্রিয়া চালু হওয়ার পরে যোনির ভেতর লিঙ্গের যাতায়াতের কারণে কোনও আঘাত না লাগে।
এই তরল নির্গত হওয়ার প্রধান কারণ কি?
- অত্যধিক কামদ ও অশ্লীল ভাবনা চিন্তা করা।
- মন অশান্ত থাকা।
- কখনও কোনও দুঃখের ঘটনা মনে পড়ে যাওয়া।
- মস্তিষ্ক কমজোরি হওয়া।
- ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা ভিটামিনের কম থাকার কারণে।
- কোনও অসুখের কারণে কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ার ফলে।
- ব্যক্তির শারীরিক দুর্বলতা বা প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে।
- কোনও ঘটনা নিয়ে অধিক চিন্তা করার জন্যে।
- বীর্য পাতলা হয়ে গেলে।
- পুরুষের যৌনাঙ্গের নার্ভের সমস্যার কারণে।
- যৌন ধাতু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বের করে দিলে(অত্যধিক হস্তমৈথুন করলে)।
তরল নির্গত হওয়ার উপসর্গগুলো কি কি?
- মল বা মুত্রত্যাগের সময় চাপের জন্য ইচ্ছে হওয়া কিন্তু ধাতু রোগের একটি ইশারা বলতে পারেন।
- লিঙ্গের মুখ থেকে লালা পড়া।
- পৌরুষ বীর্যের পাতলা হয়ে যাওয়া।
- শরীরের দুর্বলতা অনুভব করা।
- ছোট ছোট ব্যাপারে অধিক চিন্তা করা।
- হাতে বা শরীরের অন্য কোনও অংশে কম্পন অনুভব করা।
- পেটের ব্যথায় ভুগলে বা পেট পরিষ্কার না হ’লে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে।
- শ্বাস নেওয়ার সমস্যা বা কোনও রকম শ্বাসকষ্ট হ’লে, কাশি হলে।
- শরীরে যদি ব্যথা করতে থাকে।
- অল্প বা বেশি মাথা ঘুরতে থাকলে।
- সর্বক্ষণ শরীরের দুর্বলতা অনুভব করলে।
- শারীরিক তৎপরতা বা ফুর্তির অভাব দেখা দিলে।
- মনে সবসময় অপ্রসন্ন ভাব থাকা এবং কোনও কাজ করতে ইচ্ছে না হওয়াও ধাতু রোগের উপসর্গ।
ধাতু রোগের আয়ুর্বেদিক উপশম
- গুলঞ্চ: ধাতু রোগের নিরাময়ের জন্যে ২ চামচ গুলঞ্চের রস ১ চামচ মধুতে মিশিয়ে খেতে হবে রোজ।
- আমলা:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধুর সাথে ২ চামচ আমলার রস খেলে খুব শীঘ্রই ধাতুর গুণমাণ বৃদ্ধি পায়। সকালে ও বিকেলে আমলকির রস দুধে মিশিয়ে পান করলেও ধাতু রোগের নিরাময়ে লাভজনক ফল পাওয়া যায়।
- তুলসী: ৩ থেকে ৪ গ্রাম তুলসীর বীজ অল্প মিছরির দানার সাথে মিশিয়ে রোজ দুপুরের খাবার খাওয়ার পর খেলে এই রোগের দ্রুত উপশম পাওয়া যাবে।
- সাদা মুস্লি (সাদা শতমূলী): আপনি যদি ১০ গ্রাম সাদা মুস্লির গুঁড়ো মিছরির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন আর তারপর ৫০০ মি.লি. গরুর দুধ পান করতে পারেন, তবে সেটা আপনার পক্ষে ভীষণ লাভজনক হবে। এই পদ্ধতিতে খেলে, আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বাড়বে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে।
- উরাদ ডাল: উরাদ ডাল গুঁড়ো করে মাটির পাত্রে সেঁকে নিয়ে যদি খাওয়া যায়, তবে আশাতীত ফল পাওয়া যায়।
- কালো জামের বীজ: কালো জামের বীজ রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার গুঁড়ো করে যদি দুধের সাথে রোজ খাওয়া যায়, তাহলে ধাতু রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।