Lybrate Logo
Get the App
For Doctors
Login/Sign-up
Last Updated: Apr 01, 2019
BookMark
Report

ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি

Profile Image
Dr. Sanjeev Kumar SinghAyurvedic Doctor • 15 Years Exp.BAMS
Topic Image

যদিও সৌন্দর্যের কোনো পরিমাপক একক হয় না তবুও আমাদের সমাজে আজও ফর্সা রং কে আকর্ষণীয় বলে শিকার করা হয়। যে কারণে বাজারে প্রচুর কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট, যা আমাদের ত্বককে পরিষ্কার এবং ফর্সা করার প্রতিশ্রুতি দেয় তা দেখা যাচ্ছে। যখন কি এরকম প্রোডাক্টের ব্যবহার করা ক্ষতিকারক হতে পারে যা আমাদের ত্বকের উপর অনেক রকম পার্শপ্রতিক্রিয়া এনে দেয়। কিন্তু এই সকল কথার পরেও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এর প্রয়োগ করে কোনরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনি ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন। এরকমই কিছু উপকরণ হল-

  • টমেটো এবং ওটমিল

    এই দুটো উপকরণই আপনার ত্বককে ফর্সা বানাতে অথবা পরিষ্কার করতে প্রচণ্ড রকম ভাবে সাহায্য করে। যেখানে ওটমিল এর ব্যবহার আপনার মৃত কোষ গুলোকে অপসারণ করে সেখানে টমেটোর ব্যবহার আপনার ত্বককে ফর্সা এবং চমৎকার বানাতে দরকারি উপাদান গুলির মধ্যে একটি। এর প্রয়োগ করার জন্য প্রথমে ওটমিল এবং টমেটো দুটোকেই পেস্ট বানিয়ে একসাথে মিশিয়ে দিন। এরপরে এই পেস্টকে আপনার ত্বকের উপর লাগান এবং এরপর কিছু মিনিট পর্যন্ত একে স্ক্রাবের মত আপনার ত্বকের উপর মর্দন করে কুড়ি মিনিটের জন্য এরকম ভাবেই রেখে দিন। কুড়ি মিনিট পরে ত্বকে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিন। আপনি এই পদ্ধতি এর প্রয়োগ দু'সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন করতে পারেন।

  • হলুদ

    হলুদ একটি প্রাকৃতিক ঔষধ এটা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রকম রোগের থেকে বাঁচিয়ে রাখে। যার মধ্যে একটি হল আমাদের ত্বককে ফর্সা বানানো, এছাড়াও ইহা আমাদের ত্বককে স্থিতিস্থাপক করতে এবং আমাদের স্কিন টোন কে আরো ভালো করতে কার্যকর পদ্ধতি গুলির মধ্যে একটি। ইহার ব্যবহার করবার জন্য সবথেকে প্রথমে একটু হলুদ পাউডার নিয়ে তার সাথে একটু লেবুর রস মেশান। এরপরে পেস্ট কে আপনার ত্বকের উপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। যে সমস্ত লোকের ত্বক সংবেদনশীল তারা পেস্টটায় একটু জল যোগ করতে পারেন। এরপর আপনি ত্বককে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই পেস্ট কে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে যেতে পারেন।

  • গোলাপ জল

    গোলাপজল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ থাকে। যা আমাদের ত্বককে কোমল এবং মোলায়েম বানায়। সাথেই ইহা আমাদের ত্বকের মৃত কোষ গুলিকে দূর করে এবং ত্বকের টোন কে আরও ভালো করতে সাহায্য করে। এর প্রয়োগ করার জন্য সবার প্রথমে চার চামচ জই আধঘন্টার জন্য উষ্ণ জলে ভিজিয়ে দিন। আধ ঘন্টা হয়ে যাবার পর তা জল থেকে বের করে নিন এবং তাতে গোলাপ জল এবং অর্ধেক চামচ দই ঢালুন। এবার এই পেস্ট কে আপনার ত্বকের উপর লাগান এবং কুড়ি মিনিট এর জন্য রেখে দিন। এর পরে আপনি ত্বককে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়া আপনি এই পেস্ট এর ব্যবহার দিনে দুই বার করতে পারেন।

  • কমলালেবু

    কমলা লেবু ভিটামিন সি দিয়ে ভরপুর থাকে যা আমাদের ত্বকের জন্য লাভদায়ক হয়ে ওঠে। এরকম অনেক সমস্যা আছে যাতে কমলালেবুর ব্যবহার করা যায়, এর ফলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার হয়ে উঠতে সাহায্য পায়। কমলা লেবুর রস কে হলুদ গুঁড়ো সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণকে ভালো হবে চালিয়ে নিন যাতে একটি পেস্ট তৈরি হয়ে যায়। এবার এই পেস্ট কে আপনি ত্বকের উপর লাগান এবং সারা রাতের জন্য এরকম ভাবেই রেখে দিন। সকালে আপনার ত্বককে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে দিন। ভালো ভাবে উপকার পাওয়ার জন্য আপনি এই পদ্ধতি প্রত্যেকদিন ব্যবহার করতে পারেন।

  • যষ্টিমধু

    যষ্টিমধু এর ব্যবহার অনেকগুলি রোগের থেকে বাঁচার জন্য করা হয়। যেমন যষ্টিমধু এর রস ট্যান এবং ডার্কনেস কম করে। ইহা সূর্যের ফলে খারাপ হওয়া ত্বকের ভালো করার জন্যও কাজ। ইয়া প্রত্যেক দিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার দেখায়। এর প্রয়োগ করবার জন্য সবার প্রথমে যষ্টিমধুর রস তৈরি করে নিন এবং রাতে ঘুমানোর আগে রসে তুলো চুবিয়ে আপনার ত্বকের উপর লাগান এবং শুয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ত্বকে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আরো ভালো উপকার পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতির প্রত্যেকদিন ব্যবহার করুন।

  • লেবু

    লেবু আমাদের ত্বককে ফর্সা বানানোর সব থেকে সোজা এবং সরল পদ্ধতি কেন না এতে ব্লিচিং উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। এর সাথেই এর প্রয়োগ দাগ এবং ছোপকে দূর করে। এর প্রয়োগ করবার জন্য ত্বকের উপর লেবুর রস লাগান এবং কুড়ি মিনিটের জন্য এরকম ভাবেই রেখে দিন। এরপরে ত্বককে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। একদিন অন্তর আপনি লেবুর রস কে ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখুন যে যখন আপনি এই পদ্ধতির ব্যবহার করছে তখন সূর্যের সামনে যেন না থাকেন। চোট এবং কেটে যাওয়া জায়গাগুলিতে লেবু দেখেশুনে লাগাবেন। যে সমস্ত লোকেদের ত্বক সংবেদনশীল তারা লেবুর রস জলে গুলে ব্যবহার করতে পারেন।

  • বেসন

    প্রচন্ড সোজা এবং প্রত্যেক ঘরে থাকা বেসন আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করতে পারে। ইহা এক্সফলিয়েটর এর মত কাজ করে যা ট্যানকে দূর করে এবং কোনরকম কালো স্পট কম করতে সাহায্য করে। বেসনের ব্যবহার আপনার ত্বককে প্রাকৃতিক ফর্সা ভাব আনতে সাহায্য করে। পাচ চামচ বেসন এবং এক চামচ হলুদ গুঁড়ো কে একসাথে মিশিয়ে নিন। এখন এই পেস্ট কে ত্বকের উপর ভালো ভাবে লাগান এবং কুড়ি মিনিটের জন্য এভাবেই রেখে দিন তারপর ত্বককে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে দিন। বেসনের ব্যবহার প্রত্যেকদিন স্নান করার আগে করতে পারেন।

  • আখরোট

    আখরোট ভিটামিন,প্রোটিন দিয়ে ভরপুর থাকে যা আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর ফর্সা এবং চমৎকার হতে সাহায্য করে। জলে ভেজা বাদাম এবং আখরোট কে মিক্সারে মেশানোর জন্য ঢেলে দিন। এবার তার মধ্যে দই এবং তিসি মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে পেস্ট তৈরি হবার পর এটিকে আপনি আপনার ত্বকের উপর লাগান। ১০ মিনিট পর্যন্ত এটিকে এমন ভাবেই রেখে দিন। এরপর ত্বককে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করে দিন। এই পেস্ট আপনি পুরো দিনে দুইবার অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।

  • অ্যালোভেরা

    অ্যালোভেরা সহজে পাওয়া যায় এমন ওষুধ, ইহার জেল ত্বককে ফর্সা করার একটি অসাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি কারণ ইহাতে এন্থ্রাক্যুনোন কম্পাউন্ড থাকে যা ত্বকের উপরিভাগ সরিয়ে ভেতরে লুকিয়ে থাকা ফর্সা ত্বক কে বাইরে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল লাগানো ছাড়াও আপনি এর লোশন বা ক্রিম লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল কে পুরো শরীরে লাগিয়ে মর্দন করুন। মর্দন করার পরে কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত ইহাকে এমন ভাবে রেখে দিন। এরপর ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে শরীরকে জল দিয়ে ধুয়ে দিন। অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার রোজ করুন।

  • মধু এবং লেবু

    লেবুতে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার ত্বককে ফর্সা বানায় এবং মধু ত্বককে মোলায়েম বানাতে সাহায্য করে। চার চামচ মধুতে চার চামচ লেবুর রস মেশান। দুটোর উপকরণকেই ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। এখন এই পেস্ট কে আপনি আপনার ত্বকের উপর লাগান এবং পনেরো-কুড়ি মিনিটের জন্য এইভাবে রেখে দিন। এর পরে আপনি ত্বককে গরম জল দিয়ে ধুয়ে দিন। পরিষ্কার এবং কোমল ত্বক পাওয়ার জন্য এই পেস্টের ব্যবহার কম করে সপ্তাহে ৩ বার করা জরুরি।

  • চালের গুঁড়ো

    চালের গুড়ার মধ্যে প্যারা- অ্যামিনোবেঞ্জোয়িক অ্যাসিড থাকে। যা কেবল আপনার ত্বককে সূর্য থেকে বাঁচানো ছাড়াও শরীরে ভিটামিন সি এর স্তর অটুট রাখে। চালের গুঁড়ো তে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেরুলিক এসিড দ্বারা ভরপুর থাকে। এই কারণে চালের গুড়ো হাইড্রেটিং এবং ত্বককে আর্দ্র করতে সাহায্য করে। কাঁচা চালকে বেটে নিন এবং এক পাউডার তৈরি করে নিন। এবার এই পাউডার এ সমপরিমাণ দুধ মেশান, যাতে একটি মোলায়েম পেস্ট তৈরি হতে পারে। এরপর এই পোস্টকে ভালোভাবে মেশানোর পরে আপনি ত্বকের উপর আধঘন্টার জন্য লাগিয়ে রাখতে পারেন। এরপর আপনি ত্বককে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ভালোভাবে উপকার পাওয়ার জন্য আপনি এই পোস্টকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।

  • বীট পালং

    বীট-পালং আয়রন এবং ভিটামিন দিয়ে ভরপুর থাকে যার সাহায্যে আমাদের ছিদ্র পরিষ্কার হয় এবং ত্বককে প্রাকৃতিক ফর্সা ভাব মেলে। এর প্রয়োগ করবার জন্য চার চামচ বেসন ,২ চামচ হলুদ পাউডার এবং এক বাটির মধ্যে টাটকা ক্রিম নিন। এখন বীট-পালং কে ছিলে নিয়ে তাকে মিক্সার এর মধ্যে মেশানোর জন্য ঢেলে দিন। এখন এর রস একটি বাটিতে ঢেলে দিন। হলুদের পর এর মধ্যে বেসন হলুদ এবং ক্রিম কে একসাথে ঢেলে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এই পেস্ট কে আপনার ত্বকের উপর কুড়ি মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে দিন। এর পরে আপনি ত্বককে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিন। এর ব্যবহার আপনি সপ্তাহে ৩ বার পর্যন্ত করতে পারেন।

chat_icon

Ask a free question

Get FREE multiple opinions from Doctors

posted anonymously
doctor

View fees, clinc timings and reviews
doctor

Treatment Enquiry

Get treatment cost, find best hospital/clinics and know other details