গ্যাসের চিকিৎসা
আমরা প্রায়শই সময় দেখি যে অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তি বা হালকা ওজনের ব্যক্তি, বুড়ো অথবা জোয়ান এমনকি আজকাল শিশুরাও পেটে গ্যাসের কারণে অস্বস্তি বোধ করে। যদিও ইহা একটি খুব সাধারণ অসুখ কিন্তু পরবর্তীকালে ইহা একটি বড় অসুখে পরিণত হতে পারে।
কারণ:
পেটে গ্যাসের সমস্যা যুক্ত লোকেদের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য দায়ী আমাদের অনিয়মিত জীবনশৈলী যার মধ্যে চাপ, দুশ্চিন্তা ,ভয় ,চিন্তা, রাগ অন্যতম।এর কারণে ডাইজেশন পার্ট এর প্রয়োজনীয় পাচক রসের স্রাব এর ঘাটতি হয়ে যাওয়া এবং এর ফলে বদ হজমের সমস্যা হয়ে যায় ও এইসব কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
গ্যাসের সমস্যা গুরুতর হলেও যদি একটু সাবধানতা অবলম্বন করে এর থেকে আরাম পাওয়া যায়। বাড়ির রান্নাঘরে এমন কিছু জিনিস থাকে যা ব্যবহার করলে গ্যাসের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- জোয়ান
জোয়ান প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়, প্রায়ই ভাজা জিনিস ব্যবহৃত হয়, জোয়ান শুধু এই জন্য দরকারী নয়, কিন্তু জোয়ান পেটে গ্যাস, পেটে অম্লতা মত অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি দেয়। আপনার যদি পেটে ব্যথা থাকে এবং আপনি জানেন যে এটি অ্যাসিড বা গ্যাস ,তবে অবিলম্বে গরম জলের সাথে একটি ছোট চা চামচ সেলেরি পান করলে ইহা অম্লতা এবং দেশে হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।
-
পুদিনা
পুদিনা চাটনি জন্য বিখ্যাত হলেও এটা মনে রাখতে হবে যে পুদিনার অনেক ঔষধি গত গুণ আছে| পুদিনা হল ভগবানের কাছ থেকে আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদ। যদিও ইহা সমস্ত রকমের রোগের জন্য কোন না কোন রকম ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পেট ব্যথার জন্য ইহা অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি আপনার পেটে গ্যাস অথবা অম্বল হয়ে থাকে পুদিনার রস বা পুদিনার চাটনি এর থেকে আপনাকে অতি সহজেই মুক্তি দিতে পারে।
-
লেবু
লেবু একটি পরম ঔষধ যা পেটের গ্যাস থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। যদি কখনো পেটে গ্যাস বা জ্বালা অনুভব করা হয় তাহলে লেবুর রস তা থেকে আমাদের অতি সহজেই মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু যদি কখনো এর থেকেও বেশি অসুস্থ অনুভব করা হয় তাহলে এক গ্লাস জল এর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে তারমধ্যে অল্প নুন, এক চিমটে ভাজা জিরে, এক চিমটে জোয়ান, দুচামচ মিছরি এবং এক চামচ পুদিনার রস মিশিয়ে পান করলে ইহা এই সমস্ত রোগের থেকে সহজে আরাম দিতে পারে।
-
আপেল
ডাক্তারের সর্বদা দৈনিক একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেয় কিন্তু আপনি কি জানেন,দৈনিক একটি আপেল আপনাকে পেটৈর গ্যাস থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। যখনই পেটে গ্যাসের সমস্যা হবে তখন আপেলের সিরিকে দুই চামচ উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে পান করলে এর থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
-
বাটারমিল্ক
বাটারমিল্ককে গ্যাসের শত্রু বলা হয়। গ্যাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে খাবারের পর এক চিমটে ভাজা জিরা, নুন এবং পুদিনার সাথে বাটারমিল্ক মিশিয়ে পান করলে এটি গ্যাসের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
-
সরিষার তেল
যদি আপনার পেটের নাভি তার নিজের স্থান থেকে সরে যায় তাহলে পেটে গ্যাস ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরষের তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি পেটের ব্যথা এর থেকে অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে সরষের তেল মালিশ করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
-
লবঙ্গ
দুটি লবঙ্গ পিষে তাকে অর্ধেক কাপ গরম জলের সাথে মিশিয়ে তাকে ঠান্ডা করেদিনে তিনবার পান করলে গ্যাসের রোগ থেকে সব সময় জন্য মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। | ভারী খাবার খেলে পেটের মধ্যে সাধারণত গ্যাস হয়ে থাকে। তেল ,ঘি ও এরকম জাতীয় খাবার পেটে গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ। এর থেকে বাঁচার জন্য খাওয়ারে লেবু ,আমলা ,আদা, পালং শাক ইত্যাদি ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
খাবার চিবিয়ে খাওয়া
খাবার খুব ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার সময় মাঝে মাঝে জল খাওয়া এড়িয়ে চলা দরকার। খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর ১-২ গ্লাস জল খাওয়া অত্যন্ত দরকার। দুপুরে এবং রাত্রে খাবার এর মাঝখানে অল্প অল্প খাবার খাওয়া অত্যন্ত দরকার। এরকম জীবনধারা আপনাকে পেটের গ্যাসে হাত থেকে সহজে মুক্তি দেবে।