মহিলাদের ছয় প্রকার কুঁচকির র্যাশ
পুরুষ ওমহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ত্বকের র্যাশ একটি নিয়মিত সমস্যা। শরীরের অন্তর্গত বা বহিরাগত, বিভিন্ন কারণে এই র্যাশ হতে পারে। তবে, জননেন্দ্রিয়এবং কুঁচকি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে র্যাশ খুবই সমস্যা তৈরী করে, এবং তা যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়ক ও লজ্জ্বাজনক। কিছু র্যাশ শরীরের ভেতরের কারণে হতে পারে, আবার কিছুক্ষেত্রে তা বাইরে থেকে সংক্রামিত হতে পারে, যেমন কিছু র্যাশ এসটিডি বা যৌনসঙ্গম-সংক্রামিত কারণে হতে পারে।
মহিলাদের কুঁচকির র্যাশের বিভিন্ন প্রকার
মহিলারা র্যাশের বেশী শিকার হন কারণ তাদের জননেন্দ্রিয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এবং অন্তর্বাস অনুজীবের বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ। সঠিক চিকিৎসা বা প্রয়োজনীয় সতর্কতা না থাকলে ইনফেকশন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। মহিলাদের মধ্যে লক্ষনীয় কিছু র্যাশ ও তাদের কারণ নীচে দেওয়া হল।
- শ্যাফিং বা ইন্টার্ট্রিগো- লক্ষনীয় র্যাশর্গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়কএবং কুদর্শনও বটে; এগুলি পুড়ে যাওয়া দাগের মতো দেখতে হয়। উরূর ভেতরের দিকের অংশের ঘষাঘষির কারণেই এটি সাধারণত হয়।
- জক ইচ্-যদিও এটি পুরুষদের মধ্যে বেশী দেখা যায়, মহিলারাও এর শিকার হতে পারেন। বৈজ্ঞানিক ভাবে এটি ‘টিনিয়া ক্রুরিস’ নামে পরিচিত। ঘামের আর্দ্রতা ত্বকের খাঁজে আটকেযায়, যা ফাঙ্গির (ডার্মাটোফাইট ফাঙ্গি) বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, এবং তা থেকেই জক্ ইচের উদ্ভব হয়। স্থূল চেহারার মানুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশী দেখা যায়; ব্যায়াম করার সময় টাইট জামাকাপড় পড়লেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। র্যা শটি লাল রংযুক্ত ও ফোলা ফোলা দেখতে হয় এবং এতে খুবই চুল্কানি হয়।
- ইস্টের মতো ফাঙ্গির অসাম্য বা বৃদ্ধির কারণে ইনফেকশন- ক্যান্ডিডা ফাঙ্গি থেকে ইনফেকশন সাধারণত যোনিদেশের পি-এইচ সীমার গণ্ডগোলের কারণে হয়। এর কারণে যোনিগত নিঃসরণ, চুল্কানি, যন্ত্রণা ও অস্বস্তি ছাড়াও যোনিদেশে র্যাশ ও ফোলা ভাব লক্ষ করা যায়।
- স্পর্শজাত র্যাশ- ডারমাটাইটিস ত্বকের সংস্পর্শ বা এক খাবারের পাত্র ও জামাকাপড়ের ব্যবহার থেকে সংক্রামিত হয়। এগুলি লাল র্যাশের উদ্রেক ঘটায় এবং শরীরের যে কোন অংশে দেখা দিতে পারে, এমনকী জননেন্দ্রিয় ও কুঁচকিতেও।
- ঘর্ষণজাত র্যাশ- কিছু র্যাশ জামাকাপড়ের সঙ্গে ত্বকের ঘর্ষণ যেমন জিন্স, বা রেজরের ব্যবহার বা নাইলনের অন্তর্বাস ব্যবহারের কারণেও দেখা দেয়। শরীরের সঙ্গে এইসব পদার্থের বিক্রিয়ার কারণে এই র্যাশ হয় এবং দেখে মনে হয় চামড়া পুড়ে গেছে।
- যৌনসঙ্গমের কারণে র্যাশ- যৌনসঙ্গমজাত ইনফেকশন বা রোগের কারণেও মহিলাদের কুঁচকিতে র্যাশ দেখা দিতে পারে। কিছু উদাহরণ হল ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া বা সিফিলিস এবং হারপিস। এতে অল্প বা অনেক যন্ত্রণা দেখা দেয় এবং ডাক্তারি পরামর্শই এর একমাত্র নিরাময়।
চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন- তাপজনিত র্যাশ, ইন্টারট্রিগো এবং ঘর্ষণজাত র্যাশ সাধারণত নিজে থেকেই কমে যায়। যোনিদেশের ইস্ট ইনফেকশন ক্রিমের সাহায্যে ঠিক হয়ে যেতে পারে। ব্যাক্টেরিয়াজাত ইনফেকশনের জন্য ক্রিম বা আন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী। যদি যন্ত্রণা খুব বেড়ে যায় বা র্যাশে সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি কোন বিশেষ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চান, গাইনোকোলজিষ্টের সঙ্গে কথা বলুন।