ক্রনিক কিডনির রোগের হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারঃ
ক্রনিক কিডনির রোগ ক্রনিক রোগ নামে পরিচিত হলেও এমন একটি কিডনি সংক্রান্ত রোগ যার দ্বারা একজন সমর্থ লোক তার রেচন ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারাতে থাকে। এই রোগের কিছু অস্পষ্টউপসর্গ দেখা যায় যার মধ্যে কিছু হল ক্ষুধা হ্রাস, অসুস্থ বোধকরা ইত্যাদি।
উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন অথবা ডায়াবেটিক সম্পন্ন অথবা ডায়াবেটিক অথবা ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে এই রোগটি দেখা যায়। এই রোগটি অন্যান্য রোগ যেমন কার্ডিওভাসকুলার, অ্যানিমিয়া এবং পেরিকার্ডাইটিস-এর কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক্রনিক কিডনি রোগের চিকিৎসার আদর্শতম উপায় হল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাহলো প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং এর দ্বারা রোগের সমস্ত কারণ নিবারণের চেষ্টা করা হয় । হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় উপসর্গ সব সময় প্রধান মান্যতা পায়। উপসর্গের মাধ্যমে এখানে সর্বাপেক্ষা ভাল ওষুধের চয়ন করা হয় ।নিম্নে কিছু ওষুধের বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো যেগুলি ক্রনিক কিডনি রোগটি নিবারণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- অ্যাপিসমেলিফিকা: এই ওষুধটি তীব্র পর্যায়ে থাকা সি কে ডি রোগকে দমন করতে ব্যবহৃত হয় না। এই সময় লক্ষণ গুলি হল প্রচন্ড ঘাম দেওয়া, মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি ।যখন কিডনিতে অল্প ব্যথা হয় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়ে যায় তখন এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। রোগীর প্রস্রাবে অ্যালবুমিন থাকে এবং রক্তে করপাসল বর্তমান থাকে , চামড়া ফুটো হয়ে যায় এবং রোগী তৃষ্ণার্ত বোধ করে।
- আর্সেনিকাম: এই ওষুধটি রোগের সব পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় এবং এটি রোগের সর্বোত্তম প্রতিকার গুলির মধ্যে একটি। এটি রোগের পরবর্তী পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় যখন রোগীর ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং সে মোমের ন্যায় আচরণ করে, সাথে অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত বোধ এবং ডায়রিয়া হয়। প্রস্রাবের রং খুবই গাঢ় রঙয়ের হয় এবং তাতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ প্রচন্ড বেশি থাকে। রাতে শোয়ার সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এই সময়ে একোনাইট প্রদানের ফলে রোগী কিছুটা স্বস্তি পায়।
- অরাম মিউরিয়েটিকাম: হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি সিফিলিস বা গেঁটেবাতের কারণে হওয়া মর্বাস ব্রাইটের মতো রেচন রোগ নিরাময় ব্যবহৃত হয়। এর দ্বারা ভার্টিগোর মতো রোগও হতে পারে।
- বেলেডোনা: কিডনির কটিদেশীয়অঞ্চলে প্রদাহ বা ব্যাথা নিরাময়ের আদর্শ নিরাপদ ওষুধ হলো বেলেডোনা।
- ক্যান্থারিস: এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি নেফ্রিটিশ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ক্যান্থারিস ডিফথেরিক কিডনি রোগে ড্রপসির সাথে ব্যবহার করা হয়।
- কোনাভালারিয়া: হৃদরোগের কারণ নেফ্রিটিস হলে কোনাভালিয়া ব্যবহৃত হয়। যখন হৃৎপিণ্ড অনিয়মিত ভাবে কাজ করে তখন এই ওষুধের প্রয়োগ করা হয়।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকর। সব ধরনের রেচন রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিকে নিরাময় আছে।