পুরুষ লিঙ্গে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দিলে কি করবেন?
যখন কেউ স্ট্রেচ মার্ক শব্দটি শোনেন তখন এমনিতেই তাদের মাথায় গর্ভবতী মহিলাদের পেটের চার পাশের স্ট্রেচ মার্কের কথা মাথায় আসে। কিন্তু আসলে, এই ধরণের চিহ্ন শরীরের যে কোনো জায়গায় হতে পারে। এমনকি, উচিত লিঙ্গ-যত্ন করা সত্ত্বেও, পুরুষেরা এই ধরণের স্ট্রেচ মার্ক, নিজেদের গোপন অঙ্গে বা তার চার পাশে, কুঁচকিতে, অন্ডকোষে, এমনকি নিজেদের লিঙ্গেও দেখতে পেতে পারেন।
ভালো খবর হলো এটাই যে, এই ধরণের দাগ বা চিহ্ন কোনো রকম চিকিৎসাবিদ্যা জাত ব্যাপার নয়। অনেক সময় এটা এমনিই হতে পারে। আরো একটি ভালো খবর আছে যা হলো, এই ধরণের চিহ্ন বা বলিরেখা খুব সহজেই একজন পুরুষ তার লিঙ্গ থেকে মুছে ফেলতে পারেন। কি করে এটা সম্ভব সেই বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হলো:
যে কোনও স্ট্রেচ মার্ক কেন হয়?
স্ট্রেচ মার্ক হলো শরীরের শারীরিক গঠনের পরিবর্তনের ছাপ। মহিলারা সাধারণত এটার অভিজ্ঞতা তখন করেন যখন তারা গর্ভবতী হয়ে থাকেন কারণ সেই সময় তাদের পেট, ভিতরে থাকা শিশুটির দিন দিন বেড়ে ওঠার ফলে, অনেক বেশি রকম ভাবে বড়ো হয়ে যায় কিন্তু প্রসবের পর যখন পেট টি আবার আগের মতো গঠনে ফিরে আসে তখন এই ধরণের বলিরেখা দেখা দেয়। কিছু লোক বয়ঃসন্ধির পর এই ধরণের চিহ্ন অভিজ্ঞতা করেন, কারণ বয়সের এক একটা স্তরে মানুষের শারীরিক গঠন এক এক রকম হয়। কখনো ওজন বৃদ্ধি পায় আবার কখনো ওজন কমে। তার ফলে এই ধরণের বলিরেখা আসা খুবই সহজ।
তাহলে এবার আমরা আলোচনা করবো যে কিভাবে একজন পুরুষ তার লিঙ্গের স্ট্রেচ মার্ককে নিশ্চিহ্ন করতে পারেন? যখন পুরুষাঙ্গের চামড়া মোটামুটি ভাবে প্রতিনিয়ত প্রসারিত হয়, এটি লিঙ্গের ত্বকের মধ্যে ক্ষুদ্র, ব্যথাহীন স্ট্রেচ মার্কের কারণ হতে পারে।এবং সময়ের সাথে সাথে এটি বাড়তে পারে ও আরো স্পষ্ট হতে পারে।
কিন্তু এটি অন্ডকোষের ওপর স্ট্রেচ মার্কের ব্যাখ্যা করেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যে এলাকায় সাধারণত প্রসারিত হয় না সেগুলিতে খুব সামান্য চিহ্ন থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি যিনি ভুল ভাবে বসে আছেন এবং টেস্টিকেলস এর উপর সামান্য চাপ অনুভব করেন, তাৎক্ষণিক ভাবে উঠেদাঁড়াতে পারেন, এবং নিজেকে ঠিক করে আবার বসতে পারে। এটি এত ঘন ঘন ঘটে যে সে আসলে বুঝতেই পারেন না যে সে এটা করছে। কিন্তু এটি যথেষ্ট নিশ্চিত, এমনকি এরম বার বার স্ট্রেচিং থেকে অস্বস্তির কারণেও আপনার লিঙ্গতে একটি ছোট প্রসারিত চিহ্ন তৈরি যথেষ্ট হতে পারে।
স্ট্রেচ মার্কের জন্য কি করবেন?
পুরুষরা জেনে খুশি হবেন যে, এই ধরণের দাগ বা চিহ্ন কোনো রকম চিকিৎসাবিদ্যা জাত ব্যাপার নয়। অনেক সময় এটা এমনিই হতে পারে। আরো একটি ভালো খবর আছে যা হলো, এই ধরণের চিহ্ন বা বলিরেখা খুব সহজেই একজন পুরুষ তার লিঙ্গ থেকে মুছে ফেলতে পারেন। যদিও এই ধরণের দাগ অনেক সময়ই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
কোনো পুরুষ যদি এই ধরণের বলিরেখার জন্য নিজের দৈনন্দিন যৌন জীবনে খুবই অসুবিধে ভোগ করছেন সেক্ষেত্রে আপনি চরম রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। এই বিশেষজ্ঞেরা আপনাকে নানা রকমের থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন যাদের মধ্যে খুবই প্রচলিত থেরাপি হলো লেসার থেরাপি বা মাইক্রোডার্মাব্রেশন, যা এই ধরণের দাগ কে দূর করতে খুবই কার্যকর। সব চেয়ে ভালো ফলাফল পেতে হলে এই ধরণের দাগের প্রথম ৬ সপ্তাহের (যখন দাগ গুলি লাল বা বেগুনি রঙের মতো আছে) মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত।
এছাড়া স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লিঙ্গ স্বাস্থ্যের পক্ষে সচেতন হওয়া জরুরি, সেক্ষেত্রে উচ্চমানের ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য পেশাদাররা MAN 1 MAN তেল ব্যবহার করতে বলেন, যা চিকিৎসাগতভাবে হালকা এবং সুক্ষ ত্বকের জন্য নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে, যার দ্বারা এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে। একজন পুরুষের লিঙ্গের ত্বক কতটা পরিমাণ মসৃণ এবং নমনীয় থাকে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করার জন্য প্রচুর হাইড্রেশন চায় যা যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গকে প্রসারিত করতে সহায়তা করে। এটি একটি ক্রিম যাতে কেবল শেয়া মাখনই নয় তার পাশাপাশি ভিটামিন ই রয়েছে। শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই, সেইসব লিঙ্গের জন্য খুবই কার্যকরী, যেখানে ইতিমধ্যেই লিঙ্গটি কোনও যন্ত্রনা বা রোগের সম্মুখীন হয়েছে. কারণ শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই, লিঙ্গের চামড়া মসৃণ করতে এবং ভাল ময়শ্চারাইজ রাখতেও সাহায্য করেI একজন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের ত্বককে এটি যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করতে পারে। রেটিনল এবং আলফা লাইপোইক অ্যাসিড সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলি বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বককে আরও চকচকে রাখতে সহায়তা করতে পারে।