জিহ্বার ঘা বা আলসারের চিকিৎসা
জিহ্বার ঘা বা আলসারকে মুখের আলসারের একটি বড় প্রকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে একই রকমের ফোস্কা দেখা যায় । এর ফলে একজনকে একইরকমের জ্বালা এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।এর লক্ষণগুলো সহজে দেখা যায়,তাই সহজে চিকিৎসা করা যায়।
মশলা বা মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় মুখের মধ্যে জ্বালাময় অনুভূতির সৃষ্টিহয়। এছাড়াও জীভের উপর ফোঁড়া বা ব্রণ গঠিত হয়।
এক্ষেত্রে চিকিৎসায় গাফিলতি করা উচিত না।আলসারের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া যাক । আমরা আপনাদের ফোস্কা সম্পর্কে প্রতিকারের কিছু উপায় দেখাতে পারি, যা আপনাকে স্বস্তি দেবে।
জিহ্বায় ৩ ধরনের ফোসকা বা ফোঁড়া হয় -
- গুরুতর ফোস্কা
নামটা শোনার সাথে সাথেই বোঝা যায় যে, এই ফোস্কা সাধারণ ফোস্কার চেয়ে আকারে বড়। আপনাকে বলা বাহুল্য যে এই ফোস্কা সাধারণত ১০ জনের মধ্যে এক জনের হয়ে থাকে।কিন্তু যখনই আপনি দেখতে পাবেন যে এরম ফোস্কা হয়েছে,তবে অবিলম্বে একজন ভাল ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
-
সাধারণ ফোস্কা
অধিকাংশ মানুষই সাধারণ ফোস্কা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। এটির নাম থেকে পরিষ্কার ধারণা আসে যে , এটি আকারে বেশি বড় নয় এবং এটি প্রায় ১০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
-
হেরপেটিফর্ম ফোস্কা
হেরপেটিফর্ম ফোস্কার অপর নাম হল তুচ্ছ ফোস্কা । এর আকার ৩ মি. মি. হয়।সাধারণত, ১০ থেকে ৪০ বছরের বয়সের মানুষদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই ফোস্কা দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটা শিশু এবং অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে সমান।
এই রোগের উপসর্গগুলো হলঃ
- খেতে এবং জল পান করতে গিয়ে জীভে ব্যথার অনুভব।
- প্রদাহ অভ্যাস হয়ে দাঁড়াবে।
- আপনি সর্বদা ক্লান্ত বোধ করবেন।
- মুখমন্ডলের ক্ষতগুলির মধ্যে লালচেভাবদেখা যাবে।
নিরাময় পদ্ধতি
- যারা জিভের আলসারে ভুগছে তাদের ভিটামিন-সি খাওয়া উচিত।এর জন্য , আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন গ্লাস কমলা লেবুর রস পান করুন। আপনি টমেটো থেকেও ভিটামিন সি পেতে পারেন।
- মশলাযুক্ত এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
- প্রচুর পরিমাণে ফল খান এবং প্রচুর জল পান করুন।
- বেশি পরিমাণে সবুজ শাক সবজি খাওয়া উপকারী।
- খাওয়ার সময় যদি আপনি কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করেন, তবে এটি আরও ভাল হবে।
- এই ফোস্কার জন্য দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যেমন ঘি ,মাখন ,পনির ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অনিরামিষাশী খাদ্য অম্লীয় প্রকৃতির হয়, তাই জিহ্বায় আলসার হলে এটি খাওয়া উচিত নয়।
- দিনে দুই থেকে তিনবার জিভ পরিষ্কার করা উচিত।
- পুদিনা পাতা (যা মোটামুটি সব বাড়িতেই পাওয়া যায়)তা চিবুনো উচিত ,অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
- যে সমস্ত খাবার দাঁতের জন্য সংবেদনশীল সেই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য এড়িয়ে চলুন। ফোস্কা নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত অ্যালকোহল এবং চকলেট থেকে দূরে থাকুন।
- ফোস্কার জ্বালা কমানোর জন্য গ্লিসারিনে হলুদ গুঁড়ো মেশান এবং ধীরে ধীরে ক্ষত জায়গায় ম্যা্সাজ করুন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পরে এটি পরিস্কার করুন।
- এক কাপ জলে এক চামচ ভুট্টা গুঁড়ো দিয়ে জলটা গরম করতে হবে,তারপর জলটা ঠাণ্ডা হলে ওটা দিনে ২-৩ বার খেতে হবে , তাতে আরাম পাওয়া যাবে।
- কয়েক ফোঁটা জলে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে ফোস্কার জায়গায় দুই তিনবার লাগান এবং মিনিট পনেরো পরে ধুয়ে ফেলুন।
- খাদ্য খাওয়ার পর হারবাল বা ভেষজ চা পান করলেও জিভের অনেকটা আরাম হয়।