থাইরয়েড রোগীদের ডায়েট চার্ট
গলার পরের অংশে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থিকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এটি বলা হয় কারণ এর বিকারের সময় জানা যায় না। একথাও ঠিক যে,সময় মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কখনো কখনো মৃত্যু সম্ভব।আপনাদের জানিয়ে রাখি আকারে খুব ছোট এই গ্রন্থি,আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলে হরমোনাল গ্রন্থিগুলো এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু এটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ যে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ কম বেশি হলে তা আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবফেলে।অনিয়ম জীবনযাপন ও খাদ্য-পান থাইরয়েডের সমস্যার কারণ হতে পারে। এর মানে হচ্ছে যে আপনি যদি আপনার জীবনযাপন ও খাদ্য-পান সম্পর্কে সচেতন থাকেন তাহলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য আমরা থাইরয়েড দুর্গতদের জন্য ডায়েট চার্ট বলে দিচ্ছি।
থাইরয়েড থেকে ভোগা রোগীদের জন্য ডায়েট চার্ট:
- আয়োডিন যুক্ত খাদ্য খাবার-
থাইরয়েড পীড়িত রোগীদের খাদ্য পদার্থের আয়োডিনের মাত্রা যথোপযুক্ত হওয়া উচিত, কারণ আয়োডিনের মাত্রা থাইরয়েড এর ক্রিয়াকলাপ কে প্রভাবিত করে।
-
খাদ্যের উৎস
থাইরয়েড রোগীদের জন্য আমরা কেবলমাত্র সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত খাদ্যের ব্যবহার করতে পারি। যেমন সমুদ্রের মাছ, শৈবাল এবং সবজি ।কারণ এগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে।
-
তামা এবং লোহা
এছাড়াও তামা এবং কপার যুক্ত খাবার থাইরয়েড রোগীদের জন্য যথেষ্ট লাভজনক কারণ এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়াক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ তামার জন্য কাজু বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ও বাদাম খাওয়া উচিত।এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার থাকে।
-
আয়রন এর ভূমিকা
আয়রন এর জন্য সবুজ সবজির বিকল্প আর কিছু হতে পারে না, বিশেষ করে পালং শাক। কারণ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
-
পনির ও কাঁচা লঙ্কা
থাইরয়েড রোগীদের পনির এবং সবুজ লঙ্কার সাথে টমেটো খাওয়া উচিত। কারণ এই ছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থিরজন্য অত্যন্ত লাভজনক হয়।
-
ভিটামিন আর খনিজ
আপনার ডায়েট চার্টে ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবারের গুরুত্ব দিন।এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়াকলাপে বৃদ্ধি ঘটে।
-
আইসক্রিম এবং দই
আইস ক্রিম এবং দই সেবন থাইরয়েড রোগীদের জন্য বেশ লাভজনক হয়।
-
গরুর দুধ
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায়ে অনেক উপকার পাওয়া যায়, যেমন- গরুর দুধ পান।
-
নারকেল তেল
নারকেল তেলের ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি থাইরয়েড গ্রন্থির সক্রিয়তা বাড়াতে পারেন। এর আরো একটি সুবিধা হল নারকেল তেল কে আপনি খাবারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।
খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন
- থাইরয়েড রোগীদের ডায়েট চার্টে সোয়া পাতা থেকে তৈরি কোন খাবার থাকা উচিত নয় ৷
- থাইরয়েড রোগীদের ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকা উচিত। কেননা ফাস্ট ফুড থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে।
- যদি আপনি সবজির কথা বলেন,তবে ব্রকোলি বাঁধাকপির মতো খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।
থাইরয়েড রোগীদের উচিত, এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গ্রহণ করা উচিত।তবে যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।তবে এসব সত্ত্বেও ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে হবে।