আয়ূর্বেদ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়াতে কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

পুরুষ প্রজননের অঙ্গ, যাকে আমরা সাধারণত ‘লিঙ্গ’ বলে সম্বোধন করি, তাকে ঘিরে অনেক অনেক ভুল ধারণা ও নানারকম গল্প আছে। কিছু মানুষ মনে করেন যে লিঙ্গের আয়তন বা দৈর্ঘ্য কিশোর বয়সেই সর্বাধিক হয়ে যায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে ভ্রান্ত একটি ধারণা। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ার বেশ কিছু গুরত্ত্বপূর্ণ ফলাফল আছে। যেমন, এর থেকে তৈরী হওয়া শারীরিক হীনমন্যতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব মানসিক উদ্বেগ ও আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে। ছোট লিঙ্গের কারণে শীঘ্রপতন বা লিঙ্গ শক্ত না হলে তা প্রেমের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।

আয়ূর্বেদ চিকিৎসা এবং সমকালীন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী সঠিক ওষুধ, সঠিক জীবনযাপন ও ব্যায়ামের দ্বারা লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব। ভেষজ ও এলোপ্যাথিক চিকিৎসাও এই কাজে সহায়ক হতে পারে। এই প্রবন্ধ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কিছু উপায় ব্যাখ্যা করে।

• ওষুধ এবং আনুষাঙ্গিক খাদ্যঃ বাজারে এমন অনেকআনুষাঙ্গিক খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় যা খেলে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়তে পারে, যেমন ‘এক্সট্রা লার্জ’। এই ধরণেরআনুষাঙ্গিক খাদ্য বা ওষুধ ছোট লিঙ্গ, শীঘ্রপতন ও লিঙ্গের নমনীয় ঋজুতার চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। আরেকটি ওষুধ, যা ক্যাপ্সুল রূপে পাওয়া যায়, তা হল ৮-ইঞ্চি লিঙ্গ পরিবর্ধন ক্যাপ্সুল। এগুলি যেমন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার উপায়, তেমনই ভেষজ চিকিৎসাও লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, অর্জি অয়েল একটি প্রাকৃতিক তেল যা এই কাজে সহায়তা করে। এই তেল দিয়ে ঠিকমতো মালিশ করলে তা লিঙ্গের আকার ও ক্ষমতা দুইই বাড়াতে সাহায্য করে। বাঁকা লিঙ্গের ক্ষেত্রেও এই তেল খুব কার্যকরী হতে পারে। তবে, এইসব ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
• আয়ূর্বেদিক প্রতিকারঃ লিঙ্গ বড় করার ক্ষেত্রে আয়ূর্বেদিক চিকিৎসা সব থেকে সঠিক উপায় হতে পারে কারণ এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। যেমন, ছোট লিঙ্গের অধিকারী পুরুষেরা কিশমিশ ও খেজুর জলে ফুটিয়ে তা মধু সহযোগে খেতে পারেন। এর সঙ্গে শোওয়ার আগে ভেজানো বাদাম গরম দুধের সঙ্গে খেলেও লিঙ্গের দৈর্ঘ্যে উন্নতি হতে পারে। এছাড়াও, কাঁচা পেঁয়াজ, নারকেল, আনারস, বা বিউলির ডাল খেলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
• সার্জারি ও ব্যায়ামঃ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে সার্জারিও একটি উপায় হতে পারে। এই সার্জারিতে শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে মাংসপেশী কেটে নিয়ে তা লিঙ্গের গোড়ায় সংযোজিত করা হয়। তবে, এতে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য খুব সামান্যই বাড়ে এবং উপকারের থেকে অপকারের সম্ভাবনা বেশী থাকে। এর বদলে লিঙ্গকে বড় করার ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন, কেগেল ও জেল্কিং ব্যায়াম লিঙ্গের ঋজুতা, শ্রোণী তল ও কুঁচকি সংলগ্ন জায়গাকে বলিষ্ঠ করতে সাহায্যা করে। এতে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তা সে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য যাই হোক না কেন। ভেষজ চিকিৎসা লিঙ্গকে দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• ফলতঃ, কোন লিঙ্গের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক এবং নিরাপদ আয়ূর্বেদিক নিরাময় বেছে নিন। সঠিক ভেষজ চিকিৎসা লিঙ্গের ঋজুতা সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তুলতে পারে এবং লিঙ্গের দৈর্ঘ্যকে সর্বাধিক করতে পারে।