গর্ভপাতের ঘরোয়া পদ্ধতি
সত্যিই একজন মা হওয়ার অনুভূতি খুবই বিশেষ। যে সুখের সামনে পৃথিবীর সব সুখ ফিকে বলে মনে হয়... কিন্তু আপনি গর্ভবতী তখনই হবেন, যখন আপনি মা হওয়ার জন্য মনে মনে প্রস্তুত। যখন আপনি পরিবার পরিকল্পনা ছাড়া মা হতে চলেন, তারপর আপনার হৃদয় সুখ, উত্তেজনার চেয়ে স্নায়ুর চাপ, উদ্বেগ এবং ভয় দ্বারা অধিক প্রভাবিত হয়।
গর্ভপাতের জন্য অনেক কারণ হতে পারে। কখনও কখনও এমন হতে পারে যে দৈহিক মিলনের সময়, প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী স্ত্রী গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করতে ভুলে গেলেন, যাতে প্রেমিকা বা স্ত্রী গর্ভধারণ করে ফেলেন। অনেক সময় স্বামী চাইলেও স্ত্রী সন্তান ধারণ করতে চান না নিজের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, অনেক সময় সেই সংশ্লিষ্ট মহিলার শারীরিক অবস্থা মা হবার মত না থাকতে পারে। গর্ভপাতের জন্য এই রকম বিভিন্ন কারণ হতে পারে এবং আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে যৌন জীবন মা হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি উপভোগকর এবং সেই জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, জীবনের এই ধরনের অযাচিত গর্ভাবস্থা মানসিক অবস্থা কঠিন করে তোলে এবং বিশেষত যখন তা নিজের মানুষদের সাথেই ভাগ করা যায় না। বিবাহিত বা ধনী নারীরা তাই হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে গিয়ে গর্ভপাত করিয়ে আসতে পারেন কিন্ত দরিদ্র বা কুমারী মেয়েদের এই জিনিস অধিকাংশ মানুষের থেকে আড়াল করতে হবে , এঁদের জন্য অযাচিত গর্ভধারণ মুশকিল এবং বিপদের হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন আর তা বিপদ বা মুশকিল নেই, কারণ এখন আমরা আপনাদের সাথে আছি। এখন আমরা আপনাকে বলব এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার সহজ ও ঘরোয়া উপায়।
গর্ভপাত মানে মায়ের গর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহের মধ্যে, গর্ভের ভ্রূণকে গর্ভের মধ্যেই ধ্বংস করা হয়। এর দুটি মাত্রা আছে।
প্রাথমিক গর্ভপাত: গর্ভবতী হওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি গর্ভপাত হয় তবে তাকে প্রাথমিক গর্ভপাত বলা হয়।
পরবর্তী গর্ভপাত: ১৩ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হয় তবে পরবর্তী গর্ভপাত বলা হয়।
তাই এখন আমরা জানব আমাদের ঘরের মধ্যেই থাকা এমন কিছু পদার্থের কথা, যারা এই গর্ভপাতের সময়ে আমাদের গর্ভপাতে সাহায্য করতে পারে।
- ভিটামিন সি-
ভিটামিন সি কোনো ব্যক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ভিটামিন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। কিন্তু অনেক মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই গর্ভপাত করাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ভিটামিন সি খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে স্ব-গর্ভপাত নিজেই করা হয়। আপনি ভিটামিন সি যুক্ত ফল এবং বিশেষ করে আমলা প্রচুর পরিমাণে খান, তাহলে আপনার গর্ভপাত হওয়ার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে।
-
পুদিনা-
পুদিনার তেল বা পুদিনার চা দিন প্রতি ৩ থেকে ৪ বার নিলে মহিলারা নিজেদের ক্লান্তি অনুভব করবেন এবং তাঁদের অত্যধিক ঘাম হতে থাকবে এবং এই সমস্ত কারণ নারীর গর্ভপাতে সাহায্য করে।
-
ব্যায়াম-
গর্ভপাত করার চেষ্টা করলে, আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে। আর একই সাথে আপনাকে লাফ ঝাঁপ ও ব্যায়াম ও করতে হবে। এটি আপনাকে গর্ভপাতে সাহায্য করবে।
-
পেঁপে এবং আনারস-
আপনারা সবাই গর্ভপাতের জন্য পেঁপের ভূমিকার কথা শুনেছেন। কারণ, সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হয় পেঁপে থেকে দূরে থাকার জন্য। কারণ পেঁপে থেকে গর্ভের সমস্যা হতে পারে। কিন্ত, আপনাকে তো গর্ভপাত করাতে হবে, আপনি যত পারেন পেঁপে এবং আনারস খেতে পারেন। আর এ ক্ষেত্রে আরেকটি লাভ হল, এতে পিরিয়ডস- এর সময় ও দ্রুত আসে। এই দুটির মধ্যে থাকা পেপেন নামক পরিচিত রাসায়নিক গর্ভপাতকে উৎসাহিত করে।
-
গ্রীন টি-
গ্রীন টি বা সবুজ চা থেকে শরীেরর অনেক উপকার হয়। যেমন- ওজন হ্রাস, শরীরকে শক্ত রাখা, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা ইত্যাদি। কিন্তু যদি এটি খুব বেশী পরিমাণে খাওয়া হয়, শরীরের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। সেই কারণেই এর প্যাকেটে লেখা থাকে যে গর্ভবতী মহিলারা এটি ব্যবহার করেন না। কিন্তু আপনি যদি গর্ভপাত করতে চান, এটি অনেক ব্যবহার করতে পারেন।
-
রক্ত চাপ বৃদ্ধি:
আপনার রক্তচাপ বেড়ে গেলে পিরিয়ডের সময়ে অধিক পরিমাণে রক্ত স্রাব হয়। একইভাবে, এটি আপনার গর্ভপাতের জন্য উপকারী। তাই যে জিনিস খেলে আপনার রক্তচাপ বাড়বে আপনি সেই সকল খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করুন এবং আপনার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথ তুলনায় সহজ করে তুলুন।
অবশ্যই আপনি এই পরামর্শ অনুসরণ করুন, তবে নীচের কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করবেন-
- যৌন মিলনের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করুন এবং বার বার গর্ভপাত করানোর বিপদ থেকে বাঁচুন। অন্যথায় আপনার স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতে মা হবার ইচ্ছা, উভয় ক্ষেত্রেই বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
- পুরুষ সঙ্গী প্রতিবার কন্ডোম ব্যবহার করুন, যাতে মহিলা সঙ্গী গর্ভপাতের মতো বিপত্তি এড়িয়ে যেতে পারেন।
- আপনার শরীর স্বাস্থ্যকর না হলে এই প্রতিকারগুলি অনুসরণ করার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করুন।
- আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন, ঘরোয়া গর্ভপাতের পদ্ধতি শুধুমাত্র যখন ভ্রূণটি ১ বা ২ মাসের হয় তখনই কার্যকর। অন্যথায় চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে কাজটি করবেন।