হোমিপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার সময় যে খাদ্যগুলি এড়িয়ে চলতে হবে
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটি প্রাকৃতিক এবং প্রভাবশালী চিকিৎসা যা একাধিক রোগকে নির্মূল করতে সহায়ক। কিন্তু আপনি যখন হোমিওপ্যাথি কোন চিকিৎসার আওতায় থাকেন, তখন কিছু খাদ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকে। মূলত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ঔষধ মৌখিক ভাবে গ্রহন করা হয়, এবং এর কিছু কণা গুলি মুখের গহ্বরে জমা হয় তাই এই সময় আপনাকে কিছু খাদ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি খাদ্য এবং ঔষধ গ্রহণের মধ্যে একটা নুন্যতম ফাঁক না থাকে, তাহলে কোন প্রতিক্রিয়া পাবেন না।
এটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, আপনি যদি ঔষধ গ্রহনের আধ-এক ঘণ্টা পরে বা আগে খাবার না খান, তাহলে সেক্ষেত্রে ঔষধের ওপর কোন ক্ষতি হয় না। কফি এবং হোমওপ্যাথি ঔষধের মধ্যে একটা বিতর্ক রয়েছে, কিন্তু কফি কোন ক্ষতি করে না, কিন্তু আপনাকে একটা আধ এক ঘণ্টার অন্তর মেনে চলতে হবে। এই একই বিষয় পিঁয়াজ, আদা, রসুন এবং অন্যান্য কড়া গন্ধযুক্ত খাবারের ওপরো বর্তায়মান হবে। কিছু হোমওপ্যাথি ঔষধের ক্ষেত্রে কফি একটি প্রতিষেধক রুপে কাজ করে। তার কারণ হল, সেই ঔষধগুলি তৈরিতে কফি ব্যবহার করা হয়েছে। আপনাকে যখন হোমওপ্যাথিক চিকিৎসক কোন ঔষধ দিচ্ছে তাকে এই জিজ্ঞাসা করে নেবেন।
আপনি যদি ঔষধ গ্রহণের মাঝখানে আধ-এক ঘণ্টার ব্যবধান রাখেন তাহলে কোন খাদ্যই আপনাকে ত্যাগ করতে হবে না। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে যা হোমওপ্যাথি দ্বারা নির্মূল করছেন, সেখানে কিছু খাদ্য রয়েছে যা রোগের তীব্রতা বাড়ায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু খাদ্য ত্যাগ করতে হবে যতদিন না পর্যন্ত আপনি হোমিওপ্যাথি ঔষধের কোন ফলাফল লক্ষ্য করতে পারছেন।
নিম্ন লিখিত রোগ গুলির জন্য যখন আপনি হোমওপ্যাথি চিকিৎসার অধীনে রয়েছন তখন যে খাদ্য গুলি ত্যাগ করতে হবে-
- শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা- আপনি যখন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার (যেমন সর্দি-কাশি) জন্য হোমওপ্যাথি ঔষধ গ্রহণ করেন তখন কোল্ড ড্রিংক্স, আইসক্রিম এবং অন্যান্য ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না।
- ত্বকের সমস্যা- ত্বকের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাকে মশালাদার খাবার বা কৃত্রিম ধরণের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি যদি চান যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ভালো ভাবে কাজ করুক তাহলে আমিষ খাওয়াও বন্ধ করে দিন।
- গ্যাসের সমস্যা- গ্যাসের সমস্যার জন্য যদি হোমিওপ্যাথি ঔষধ গ্রহণ করেন তাহলে মশলাদার খাবার, তৈলাক্ত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহলও ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
- শ্বেতী- শ্বেতীর সমস্যার জন্য যদি হোমিওপ্যাথি ঔষধ খান তাহলে কাঁচা, টক জাতীয় ফল খাবেন না। অন্যান্য টক জাতীয় খাবার যেমন দই এড়িয়ে চলুন। কম পরিমাণে মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার খান।
সাধারণত এমন কোন খাবার নেই যেটা হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা চলাকালীন খেতে পারবেন না যদি আপনি আধ-এক ঘণ্টার ব্যবধান রাখেন হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার আগে কিংবা পরে।