অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ৭ টি প্রভাব
আত্মতুষ্টি হলো উঠতি বয়সে এবং বাকি জীবনের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া । চিকিৎসকরাও শরীরের উন্নতি সাধনে এটি করতে বলেন। অনেক সময়, নিজের যৌন অনুভূতি বা আকাঙ্ক্ষা গুলোকে দমন করার জন্য নিজেকে তুষ্ট করা হলো একটি ভালো উপায়। কিন্তু এখন ব্যাপার হলো অনেক সময় মানুষ (স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়েই) এটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং শান্তির জন্য এই অভ্যাসের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে।
এটি একটি আনন্দদায়ক কাজ, এবং সেই জন্য বিশেষত জীবনের শুরুতে এটির আসক্তি ঘটতে পারে। মানুষেরা অনেক সময় নিজের একাকীত্ব দূর করতেও এটাকে ব্যবহার করে, যখন তারা যৌনগত ভাবে উত্তেজিত, এবং অবশ্যই বিরক্তি কে কাটাতে সচেষ্ট হয়। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বারের বেশি এটাকে করা স্বাভাবিক হতে পারে। যদিও, যদি হস্তমৈথুন করবার ইচ্ছা দিনে একাধিকবার হয় তখন এটি চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে। টানা ২০ বার করলে এটি নানা রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে যেগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:
- উদ্বেগ: হস্তমৈথুন মানুষকে খুবই আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে আসে এবং সেই কারণে যখন কোন সঙ্গীর সাথে যেতে হয় সেখানে আকার , স্ট্যামিনা এবং সঙ্গীকে খুশি করার কারণে উদ্বেগ দেখা যায়। এই উদ্বেগ যা অতি সাধারণ সেটি কখনো খুবই বেশি হয়ে ওঠে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের জন্য। পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় ক্ষেত্রেই এই অভ্যাসের জন্য যৌন ক্লান্তি এবং জেনেটিক সংক্রমনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
- ক্রনিক ফ্যাটিগ: হস্তমৈথুন স্টেরয়েড হরমোন, কর্টিসোল এর উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি বিপাকের হার বাড়ায় এবং এর ফলে ক্লান্তি এবং ক্লান্তিকর অনুভূতি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
- পিঠে ব্যথা অথবা অস্বস্তি: অতিরিক্ত হস্তমৈথুন অক্সিটোসিন, ডি এইচ ই এ, টেস্টোস্টেরন এবং ডি এইচ টি এর উৎপাদন হ্রাস করে। এই সমস্ত নিউরোকেমিক্যাল এর হ্রাস ইনফ্লেমেটরি হরমোন প্রস্টাগ্লান্ডিন ই২ এরা উৎপাদন কে উত্তেজিত করে, যা লোয়ার ব্যাক পেইন এর অন্যতম কারণ।
- গ্রোইন এবং/অথবা টেস্টিকুলার অস্বস্তি এবং ব্যথা: সেখানে একটি প্যাঁচ আছে পিটুইটারি-এড্রেনাল- টেস্টিকুলার গ্রন্থিতে, যেটি অক্সিটোসিনের এবং টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনের জন্য দায়ী। এটির একটি প্রদাহবিরোধী ধর্ম আছে এবং অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর উৎপাদনকেহ্রাস করে। যেটি গ্রোইন ব্যথায় চালিত করে যেটি টেস্টিকেলস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং টানা ব্যথা বাড়ায়।
- লিঙ্গের সংকোচন: যখন এটি যৌবনের শুরু হয়, অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের সাথে সাথে দেহের গ্রোথ হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। যা শরীরে কম পরিমানে হরমোন উৎপন্ন করে যার কারণে এটি লিঙ্গের সঠিক ভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে না, এবং লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে পড়ে।
- অকাল ক্ষয়: আবার, টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটার যেমন ডোপামিন এবং সেরোটোনিন এর উৎপাদন হ্রাস ক্রমশ প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে এবং এর ফলে দুর্বলতা, স্পাম লিকেজ, এবং অকাল ক্ষয় ঘটে।
- চুল পড়া: হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার গুলির প্রতিক্রিয়া শরীরে প্রোল্যাকটিন এবং ডি এইচ ই এ এর উচ্চ ক্ষরণ ঘটায়, যার ফলে চুল পড়তে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলি থেকে এটি বোঝা যায় যে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে অনেকগুলি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এবং আপনার এটিকে বোঝার সাথে সাথেই এর প্রতিকার শুরু করে দেয়া উচিত। যদি, আপনার কোন উদ্বেগ বা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে পারেন এবং যেখান থেকে আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেতে পারেন।