ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের জন্য ৫ টি সেরা হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার!

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হল এমন একটি পরিস্থিতি যখন কোন পুরুষ তার লিঙ্গ শক্ত করতে বা ইরেকশান রাখতে সমস্যার সম্মুখীন হয় যা যৌনসঙ্গমের সময় মেয়েদের যোনির মধ্যে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজন। অসংখ্য ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন একজন পুরুষের মধ্যে ইমপোটেন্সি বা পুরুষত্বহীনতা এনে দিতে পারে।

কারণসমূহ:

1. রক্ত প্রবাহে, সঠিক হরমোন ক্ষরণ এবং শরীরের স্নায়বিক সরবরাহের সমস্যার ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
2. স্নায়বিক কারণের পাশাপাশি রক্তনালীর অসুবিধার জন্যও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটে।
3. আর্থ্রোস্ক্লেরোসিস একটি রোগ যা প্রায়শই ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের দিকে নিয়ে যায়। এই রোগ সাধারণত ধূমপান এবং ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট হয়। লিঙ্গ-এর ধমনীগুলি সংকীর্ণ হয়ে ওঠে এবং গতিরোধ হয়ে ওঠে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটে।
4. ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট নিউরোপ্যাথি ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত, এটি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের প্রাথমিক নিউরোলজিকাল কারণ। অস্ত্রোপচারের কারণে নার্ভের ক্ষতিও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
5. উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন সংবহনতান্ত্রিক সিস্টেমের সমস্ত ধমনীর ক্ষতি করে। রক্ত প্রবাহ আটকায় এবং সঠিক ইরেকশান বন্ধ হয়, যা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনকে চিহ্নিত করে।

নীচের কিছু শারীরিক কারনেও ইরেক্টাইল ডিসফাংশান ঘটে:

1. উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্থূলতা
2. পার্কি‌নসন রোগ এবং স্ক্লেরোসিসের একাধিক ক্ষেত্রে
3. ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং পদার্থ অপব্যবহার
4. শরীরের অ্যানাটমি বা লিঙ্গের গঠনের সমস্যা
5. অস্ত্রোপচার জটিলতা
6. প্রতিক্রিয়া এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির কারণে বেশ কয়েকটি নির্ধারিত ওষুধও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারন হতে পারে।

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন অনেক মানসিক কারনেও হতে পারে:

1. লিবিডো কম থাকার কারণে বিষণ্নতা মানুষকে যৌনক্রিয়ায় আগ্রহহীন করে তোলে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণ হতে পারে।
2. অনেক চাপ, ভয়, উত্তেজনা বা উদ্বেগও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারন হতে পারে।
3. অনেক পুরুষ কর্মক্ষমতা উদ্বেগ এবং যৌন ব্যর্থতার অনুভূতিতে ভোগে। এটির ফলস্বরূপও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
4. সঙ্গীর সাথে কম বোঝাপড়া বা সঙ্গীর থেক যৌনক্রিয়া সম্পর্কিতচাপও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।

ইম্পোটেন্সি‌ (ইরেক্টাইল ডিসফাংশন) এর জন্য হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার:

1. অ্যাগনাস ক্যাস্টা‌স: হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অ্যাগানাস কাস্তাস এমন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেখানে যৌন কার্যকলাপের সময় লিঙ্গের ইরেকশান সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অ্যাগানাস কাস্তাস ইরেক্টাইল ডিসফাংশান এবং সেই যৌন দুর্বলতার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে শারীরিক শক্তি হ্রাসের সাথে পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার মানসিক ইচ্ছা কমে যায়।
2. ক্যাল্যাডিয়াম:যৌনমিলনের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও পুরুষ ইরেকশান করতে পারে না, সেইরকম ইরেক্টাইল ডিসফাংশান চিকিত্সার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ক্যালডিয়াম অনেক সাহায্য করে।
3. লাইকোপোডিয়াম: হোমিওপ্যাথিক ওষুধ লিকোপডিয়ামটি অল্পবয়সী এবং বৃদ্ধ বয়স্ক উভয় ব্যক্তিদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশানের জন্য খুব উপকারী।
4. ট্রাইবুলাস টেরেস্ট্রিস: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ট্রিবিউলাস টেরেস্ট্রিস ব্যবহারের জন্য প্রধান ইঙ্গিত হল ইরেক্টিল ডিসফাংশনের পাশাপাশি প্রস্রাবের সমস্যা থাকা।
5. নুফার লুটিয়াম: হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নুফার লুটিয়াম সেই সমস্ত ইরেক্টাইল ডিসফাংশনযুক্ত পুরুষের জন্য উপকারী হতে পারে যাদের মধ্যে যৌন কার্যকলাপের ইচ্ছা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। শিথিল লিঙ্গের কোন প্রকার যৌন ইচ্ছা নেই।
6. ইরেক্টাইল ডিসফাংশন পুরুষের স্ব-শ্রদ্ধা ও আস্থাকে প্রভাবিত করে কারণ সে যৌনকার্যে অক্ষম। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।