Flamar Mx Tablet

ফ্ল্যামার এম এক্স ট্যাবলেট হল একটি নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAID) বা স্টেরয়েড নয় এমন একটি প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ এবং তার সাথে এটি একটি পেশী শিথিলকারী হিসাবে কাজ করে। ওষুধটি মস্তিষ্কের মধ্যে প্রেরণ করা ব্যথা সংবেদনগুলি বা স্নায়ুর আবেগকে অবরুদ্ধ করে কাজ করে। ওষুধটি যদি আপনি বিশ্রাম এবং ফিজিক্যাল থেরাপির সাথে একত্রে ব্যবহার করেন, তাহলে এই ট্যাবলেটটি স্কেলেটাল পেশীগুলির সমস্যা যেমন আঘাত ও ব্যথার জন্য চিকিত্সা করতে পারে।

আপনার যদি এই ওষুধের থেকে বা ওষুধের মধ্যে থাকা কোন উপাদানের থেকে এলার্জি হয় তবে আপনাকে এই ওষুধটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। এছাড়াও আপনি যদি সোডিয়াম অক্সিবেট বা এই ধরনের অন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করেন তবে এই ওষুধটি আপনি এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি গর্ভবতী হন, বা গর্ভবতী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তবে আপনার ডাক্তারকে সে বিষয়ে অবহিত করুন। আপনার যদি লিভারের সমস্যা হয় বা পরফিরিয়া নামে রক্তের কোনও সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।

আপনি যদি কালো, রক্তাক্ত, বা আলকাতারার মতো মল, বমি বমি ভাব, চুলকানি, মূর্ছা যাওয়া, পেটের উপরের দিকে ব্যথা, গাঢ় প্রস্রাব, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া এবং কাদামাটি রঙের মলের মতো কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে এই ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করুন। আপনার চিকিৎসকের দেওয়া ডোজের থেকে ওষুধটি বেশী বা কম পরিমাণে গ্রহণ করবেন না। আপনার সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করা অতি আবশ্যক।

• পেশী খিঁচুনি (Muscle Spasm)

• হাইপারসেন্সিটিভিটি বা অতি সংবেদনশীলতা (Hypersensitivity)

• বমি ভাব বা বমি (Nausea Or Vomiting)

• বুকজ্বালা বা অম্বল (Heartburn)

• ডায়রিয়া (Diarrhoea)

• মুখ শুকনো হওয়া (Dry Mouth)

• ক্ষুধামান্দ্য (Loss Of Appetite)

• মদ্যপান করার সময় এই ওষুধ গ্রহণ করা শরীরের জন্য কি নিরাপদ?

  অ্যালকোহল পান করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

• গর্ভাবস্থার সময় কি কোন অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত?

  গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

• শিশুকে স্তন্যপান করানো মহিলাদের জন্য কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  এই ট্যাবলেট ব্যবহার করার আগে স্তন্যদানকারী মহিলাদের অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

• এই ওষুধ গ্রহণ করার সময় ড্রাইভিং করা বা গাড়ি চালানো কি নিরাপদ?

  আপনি যদি মাথা ঘোরা, তন্দ্রা, ক্লান্তি এবং দৃষ্টি ব্যাঘাতের মতো সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে আপনার গাড়ি চালানো বা কোন ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা উচিত নয়।

• এই ওষুধ কিডনির কার্যকারিতাকে কি প্রভাবিত করে?

  অন্তর্নিহিত কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। বিশদ জানার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

• এই ওষুধ লিভারের কার্যকলাপকে কি প্রভাবিত করে?

  অন্তর্নিহিত লিভারের রোগীদের মধ্যে এই ওষুধের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

নিচে একটি ওষুধের তালিকা দেওয়া হল, যে ওষুধগুলির মধ্যে এই ওষুধের মতো একইরকম গঠন, শক্তি এবং বিন্যাস রয়েছে। আপনি এই ওষুধের বিকল্প হিসাবে নিম্নলিখিত ওষুধগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

• Wingesic Plus Tablet

  Wings Biotech Ltd

• Mavdol Mr Tablet

  Maverick Pharma Pvt Ltd

• Powergesic Tablet

  Jenburkt Pharmaceuticals Ltd

• Angenec Plus 250 Mg/50 Mg/325 Mg Tablet

  Angeas Healthcare Ltd

• Ozodimol Mr Tablet

  Ozone Pharmaceuticals Ltd

• Doflex Plus Mr Tablet

  Jagsonpal Pharmaceuticals Ltd

• Comflam Plus 250 Mg/50 Mg/325 Mg Tablet

  Unicure India Pvt Ltd

• Myalgesic M Tablet

  Win-Medicare Pvt Ltd

• Enflam Mr 250 Mg/50 Mg/325 Mg Tablet

  Khandelwal Laboratories Pvt Ltd

• Admol Mr 250 Mg/50 Mg/325 Mg Tablet

  Troikaa Pharmaceuticals Ltd

• ওষুধের মাত্রা বা ডোজ যদি মিস হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  আপনি যদি ওষুধের কোনও ডোজ মিস করেন তবে মিস হয়ে যাওয়া ডোজটি এড়িয়ে চলুন এবং আপনার পূর্বের সময়সূচীটি চালিয়ে যান। ওষুধের ডোজ দ্বিগুণ করবেন না।

• এই ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণ করায় কি কোন সতর্কবার্তা আছে?

  অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ওষুধটি হল একটি পেশী শিথিলকারী যা পেশীগুলির খিঁচুনি এবং একই কারণে সৃষ্ট ব্যথার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাইক্লোঅক্সিজিনেজ নামক একটি এনজাইমকে বাধা দিয়ে কাজ করে যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন গঠনের জন্য দায়ী। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন শরীরের মধ্যে প্রদাহ, ব্যথা এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করে।

• Ques : এই ট্যাবলেট কী?

  Ans : এই ওষুধটি ক্লোরজক্সাজোন এবং প্যারাসিটামলের সংমিশ্রণে তৈরি। এটি মাথা ব্যথা, মাসিকের ব্যথা, পেশী ব্যথা, সর্দি এবং ফ্লুর চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• Ques : এই ট্যাবলেটের ব্যবহার কী?

  Ans : ওষুধটি জয়েন্ট ব্যথা, মাংসপেশীর ফোলাভাব, মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা এবং অন্যান্য আর্থ্রালজিয়ার অবস্থার মতো রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পেশী দৃঢ়তা এবং পেশী খিঁচুনি ও পেশী টান রোগীদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়। ফ্ল্যামার এমএক্স ট্যাবলেট ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু এবং কানের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।

• Ques : এই ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী?

  Ans : এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে অম্বল, ডায়রিয়া, শুষ্ক মুখ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

• Ques : এই ট্যাবলেট কোন কোন চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়?

  Ans : এই ওষুধটি জয়েন্ট বা গাঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা, চোখ ফোলা এবং পেশী ব্যথার মতো অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• Ques : আমার অবস্থার উন্নতি দেখতে আমাকে কতদিন ফ্ল্যামার-এমএক্স-ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে?

  Ans : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই ওষুধটির শীর্ষ প্রভাব ওষুধটি গ্রহণ করার ২ ঘন্টা থেকে ১ দিনের মধ্যে দেখা যায়। সুতরাং, আপনার রোগ স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত ওষুধটি আপনি গ্রহণ করবেন।

• Ques : এই ট্যাবলেট ব্যবহার করার জন্য আমাকে দিনে এটি কতবার ব্যবহার কর‍তে হবে?

  Ans : এই ওষুধটি সাধারণত দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। ওষুধ ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিন কারণ ওষুধ নেওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।

• Ques : খাবারের আগে না খাবার খাওয়ার পরে না খালি পেটে এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত?

  Ans : এই ওষুধটি মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা উচিত। এই ওষুধের মধ্যে থাকা সল্টগুলি বা ওষুধটি খাদ্যের সাথে গ্রহণ করলে এটি সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। আপনি যদি খালি পেটে এটি গ্রহণ করেন তবে এটি পেটের মধ্যে নানারকম অস্বস্তিকর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই ওষুধ ব্যবহার করার আগে দয়া করে আপনি আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধটি গ্রহণ করুন।

• Ques : এই ওষুধ সংরক্ষণ করার জন্য কি কোন নির্দেশাবলী রয়েছে?

  Ans : এই ওষুধে যে সল্ট রয়েছে তা ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার উপযুক্ত এবং এই ওষুধটি সেই তাপমাত্রার উপরে বা নীচে রাখবেন না। যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে ওষুধটি তার শক্তি হারাতে পারে। এছাড়াও ওষুধটি আর্দ্রতা এবং আলো থেকে দূরে রাখুন। এই ওষুধটি শিশুদের নাগালের হাত থেকে দূরে রাখুন। নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ গ্রহণ করা থেকে নিজেকে এড়িয়ে রাখুন।