লিঙ্গে যন্ত্রণার কিছু কারণ

যেকোনো পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ এবং সঠিক ভাবে প্রস্রাব হওয়া খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় I তবেআমাদের মাঝে কিছু এমনমানুষ আছেন যারা প্রস্রাব করার সময়, লিঙ্গে অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন I আর সেক্ষেত্রে সেই ভুক্তভুগি মানুষগুলির জন্য এটি খুবি কষ্টকর ব্যাপার I এই কষ্টের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক মানুষ অনেক রকমের চেষ্টা করে থাকেন I যেমন উদাহরণস্বরূপ কেউ কেউ কম জল খান, যাতে তাকে বেশি বার প্রস্রাব না করতে হয় I কিন্তু এটা সঠিক সমাধান নয় এবং এতে তাদের শারীরিক ভাবে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে I সেইজন্য এটা জানা খুবি জরুরি যে প্রস্রাবের সময় এই ধরণের যন্ত্রণার কারণ কি? কেননা, আসল কারণ জানতে না পারলে, এই ধরণের লক্ষণ অনেক বেশি রকমের শারীরিক ক্ষতি ঘটাতে পারে I

সবার আগে আমাদের জানতে হবে যে এই লিঙ্গ ব্যথা কোথা থেকে আসছে?

কখনো কখনো লিঙ্গ যন্ত্রণা খুব বিকীর্ণ হতে পারেI যেমন, এই যন্ত্রণাটি পুরো লিঙ্গতে এবং তার পারিপার্শিক এলাকা জুড়ে হতে পারেI আবার কখনো ইটা শুধুমাত্র লিঙ্গের গোড়া থেকেও হতে পারেI এই ধরণের যন্ত্রণার কারণের ব্যাপারে আমরা এখানে কিছু আলোচনা করছিI

• মূত্রনালীর সংক্রমণ: এই ধরণের সংক্রমণ লিঙ্গের যে কোনো জায়গায় যন্ত্রণার সৃষ্টি করতে পারে I কিন্তু এটা তখনি বেশি গুরুতর হতে পারে যদি একেবারে লিঙ্গের গোড়া থেকে যন্ত্রণাটা হয় I এটি খুব প্রচলিত সংক্রমণ এবং এই ধরণের সংক্রমণ তখনি ঘটে যখন এই রোগের ব্যাকটেরিয়া লিঙ্গের গোড়া বা ওপর অবধি পৌঁছে যায় I মূত্রনালীর সংক্রমণের একটা খুব সাধারণ লক্ষণ হলো, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, আবার এমন ও হতে পারে যে বার বার প্রস্রাব পাওয়া সত্ত্বেও খুব অল্প অল্প মূত্র হওয়া, এমনকি এই অল্প মূত্র করার জন্যেও অসহ্য যন্ত্রনা হতে পারে I কিছু কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা এর প্রতিকার কিছু দিনের মধ্যেই হয়ে যাওয়া সম্ভব হয় I
• কিডনিতে পাথর: সাধারণত কিডনি তে পাথর হলে, যন্ত্রণা কোমরের পার্শবর্তী এলাকায় হয়ে থাকে কিন্তু মাঝে মধ্যে এটি বেশি যন্ত্রণার আকার নিয়ে লিঙ্গে ও তার মাঝের অংশেও হতে পারে। কিডনির পাথর বিশেষ করে বেদনাদায়ক তখন হয় যখন লিঙ্গ থেকে ইউরিথার বাইরে যাওয়ার সময় হয় । তাদের মধ্যে কিছু বের হওয়ার জন্য খুব বড়, এবং এর মানে হল তারা প্রস্রাবকে বাধা দেয়। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা। কিছু ক্ষেত্রে এটি এতটাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে যে মানুষ থাকতে না পেরে ডাক্তার এর কাছে ছুটে চলে যায়। কিন্তু খুশির বিষয় হলো যে এই ধরণের রোগের সমাধানের অনেক উপায় আছে এবং ভালো ওষুধ ও আছে।
• যৌন রোগ: কিছু কিছু যৌন রোগের ক্ষেত্রে, লিঙ্গে অত্যধিক যন্ত্রণা হতে পারে, এমনকি প্রস্রাবও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। সবচেয়ে খারাপ যৌন রোগ হোলো ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া এবং হার্পিস।যদিও এই ধরণের রোগের অন্য অনেক রকম লক্ষণ থাকে কিন্তু কিছু সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে এটি কেবল লিঙ্গ ব্যথা, যা কমে না এবং প্রস্রাবের সময় বেশি যন্ত্রণা করায় বা একজন পুরুষ প্রস্রাব করার চেষ্টা করলে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।কী ঘটছে তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হল ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং পরীক্ষা করা।
• প্রস্টেট বা মূত্রস্থলীর সমস্যা: এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন যেসব পুরুষেরা হয়ে থাকেন এবং বিশেষত যাদের প্রস্টেট বা মূত্রস্থলী বড়ো হয়ে গেছে, তারাও প্রস্রাবরে ক্ষেত্রে অসুবিধে পেতে পারেনI ব্যথা প্রায়শই প্রসারিত হয়, পুরো লিঙ্গ জুড়ে ব্যাথা হয় , এবং প্রায়শই প্রস্রাবকে ধীর করে তুলতে পারে যেটা সমস্যাটিকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে। ভাল খবর হল এই প্রোস্টেট সমস্যার সাথে লড়াই করার জন্য পুরুষদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে, এবং সেই বিকল্পগুলির মধ্যে বেশির ভাগই ভাল ফলাফল দিয়ে থাকে, যা লিঙ্গ ব্যথা শেষ করে এবং স্বাভাবিক জীবনে মানুষকে ফিরে আস্তে সাহায্য করে।

লিঙ্গ যন্ত্রণা বা লিঙ্গের কোনো রোগ না থাকলেও, একজন পুরুষের ক্ষেত্রে তার নিজের লিঙ্গের সঠিক খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি I লিঙ্গের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি, আর সেই পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হোলো, প্রতিনিয়ত একটি উচ্চমানের লিঙ্গের ক্রিম ব্যবহার করা।(স্বাস্থ্য পেশাদারগণ দৈনিক ভিত্তিতে ম্যান ১ ম্যান তেলের পরামর্শ দেন যা চিকিত্সাগত ভাবে হালকা এবং ত্বকের জন্য নিরাপদ)। এছাড়াও কোনো ধরণের আলফা লিপোইক অ্যাসিড সন্ধান করতে হবে, যা র‍্যাডিক্যালস এর বেড়ে যাওয়াকে আটকাতে পারে এবং যেটাতে ভিটামিন ইথাকবে, যা যেকোনো রকম সংক্রমণ এর সাথে লড়াইয়ে সহায়তা করবে। শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই, সেইসব লিঙ্গের জন্য খুবই কার্যকরী, যেখানে ইতিমধ্যেই লিঙ্গটি কোনোরকম যন্ত্রনা বা রোগের সম্মুখীন হয়েছে. কারণ শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই, লিঙ্গের চামড়া মসৃণ করতে এবং ভাল ময়শ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে I