শব্দদূষণ
আজকের দিনে পৃথিবীতে সবথেকে প্রধান চিন্তার কারণ দূষণ। প্রধান দূষণ গুলির মধ্যে একটা হল ধ্বনি দূষণ। আজকের দিনে অনেক চিৎকারের কারণের জন্য ইহা আমাদের একটি প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে গেছে। যাতে পরিবহন ব্যবস্থা, মোটর যান এবং বিমানের চিৎকার তথা রেল থেকে হওয়া আওয়াজ ও জড়িত। এর সাথে সাথেই শিল্প এবং আবাসীয় ইমারত আবাসিক ক্ষেত্রে শব্দ দূষণ হতে পারে। ইহার অন্য কারণ হিসাবে কার্যালয়ের উপকরণ, ফ্যাক্টরির মেশিন, নির্মাণকার্য, উপকরণ, বৈদ্যুতিক উপকরণ, প্রকাশ ব্যবস্থার গুণগত মান এবং অডিও মনোরঞ্জন সিস্টেমকে ধরে নেওয়া যায়।
শব্দদূষণের কারণ
- শিল্প
প্রায় সব রকম শিল্পাঞ্চলে শব্দ দূষণ দ্বারা প্রভাবিত কলকারখানায় কার্যরত মেশিন থেকে উৎপন্ন আওয়াজ/গড়গড় শব্দ এর প্রধান কারণ। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে থাকা বয়লার, টারবাইন প্রচন্ড শব্দ উৎপন্ন করে।
-
পরিবহন এর কারণে
পরিবহন এর সকল কারণ কম অথবা অধিক মাত্রায় শব্দ উৎপন্ন করে। এর ফলে সৃষ্ট দূষণ অনেক অধিক মাত্রায় হয়। এর থেকে শব্দ দূষণ এর সাথে বায়ু দূষণেরও কল্পনা করা যেতে পারে।
-
মনোরঞ্জনের কারণে
মানুষ নিজের মনোরঞ্জনের জন্য টিভি,রেডিও,টেপ রেকর্ডার,মিউজিক সিস্টেম (ডি.জে.) এর মত সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজের মনোরঞ্জন করে কিন্তু এর ফলে উৎপন্ন তীব্র শব্দ চিৎকার এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিবাহ ,ধার্মিক অনুষ্ঠান ,মেলা ,পার্টিতে ব্যবহৃত লাউড স্পিকার এবং ডি.জে. এর ব্যবহার ও ধ্বনি দূষণের প্রধান কারণ।
-
নির্মাণকার্য
ঘর বানানোর জন্য আজকাল টানা কনস্ট্রাকশন এর কাজ চলতে থাকে। বিভিন্ন নির্মাণ কাজে প্রযুক্ত বিভিন্ন মেশিন এবং অস্ত্রের প্রয়োগ থেকেও শব্দ দূষণ বেড়ে চলেছে।
-
আতসবাজি
আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান,উৎসব,মেলা, সাংস্কৃতিক/বৈবাহিক সমারোহে আতশবাজি একটি সাধারণ নাম। এই আতশবাজির ফলে বায়ু দূষণ হওয়ার সাথে সাথেই শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা এত বেড়ে যায় যে শব্দ দূষণ এর মত সমস্যার জন্ম দেয়।
-
অন্য কারণ
বিভিন্ন সামাজিক ধার্মিক রাজনৈতিক মিছিল শ্রমিক সংগঠন এর মিছিলের আয়োজন ইত্যাদি কাজে একত্রিত জনগণের কথা বলার থেকেও শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা অপেক্ষাকৃত বেশি হয়ে যায়। একই রকমভাবে প্রশাসনিক কার্যালয়ে, স্কুলে, কলেজে, বাস স্ট্যান্ডে, রেল স্টেশনেও বিশাল জনগণের চিৎকারে ধ্বনি দূষণ উৎপন্ন হয়।
শব্দ দূষণ থেকে বাঁচার উপায়
- সরকার এবং জনগণের সংযুক্ত প্রয়াসে ধ্বনি তথা চিৎকারের তীব্রতাকে কম করে শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- শব্দ দূষণ কে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য প্রচন্ড আবশ্যক যে আমরা ধ্বনি এবং শব্দকে নিয়ন্ত্রিত করি। যার ফলে এর প্রভাবকে কম করা যাবে।
- বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে সবুজ গাছ লাগিয়ে শব্দ দূষণ থেকে বাঁচা যেতে পারে কারণ সবুজ গাছপালা শব্দের তীব্রতা ১০ থেকে ১৫ ডি.বি. পর্যন্ত কম করতে পারে। মহানাগরে সবুজ গাছপালার পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
- প্রেসার হর্ন এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, ইঞ্জিন অথবা মেশিন এরঘনঘন মেরামত করতে হবে। সঠিকভাবে ট্রাফিক এর সঞ্চালন এবং শহরে নতুন এলাকায় বসবাস করার সময় সঠিক পরিকল্পনা বানাতে হবে।
- এর পাশাপাশি আমরা সার্বজনীক যানবাহন এবং আরো অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করার মত অনেক ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করে এটিকে হ্রাস করতে পারি।