কোঁচ বীজের লোকসান
প্রাচীন কাল থেকেই কোঁচের লাভ এবং লোকসান সম্পর্কে সবাই জানে। কোঁচ গাছের নাম মকুনা প্রুয়েন্স। ১০-১২ ফুট লম্বা এই গুল্মজাতীয় গাছের শিকড়, পাতা এবং বীজকে ঔষধ রুপে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদে এটিকে কামোদ্দীপক এবং শরীরে স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করা হত। কোঁচের মধ্যেলেভোডোপা, এল-দোপ নামে পরিচিত, একটি রাসায়নিকের নামে পাওয়া যায়। এটি ড্রেনালাইন, ডোপামাইন এবং নর্ডড্রেইনালাইন হরমোনগুলির জন্য খুব উপকারী। খুব সাধারণ ভাবে এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যদি কোঁচের লোকসান সম্পর্কে মানুষ জানে, তাহলে এর প্রতি সচেতনতা পারবে। এর ফলে এর দ্বারা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই এই প্রবন্ধে কোঁচের লোকসান সম্পর্কে লেখা হল।
প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করবেন না- যে কোন জিনিস সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে লাভজনক হয়, কিন্তু অত্যাধিক মাত্রায় ব্যবহার করলে লোকসান হবে। কোঁচের বীজের ব্যবহারও প্রয়োজনের বেশি করবেন না।
কুপ্রভাব চোখে পড়লে কি করবেন? এটা খুব সাধারণ যে কোঁচের বীজ ব্যবহার করার পর আপনার শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া হবে, এররকম হলে মনে হয় এটা নিশ্চয়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এরকম কিছু মনে হলে বা চোখে পড়লে আপনি ঘি, মধু এবং চিনি খেতে পারেন।
- ওজন কম করতে পারে- কোঁচ বহু সসময় ধরে সেবন করলে কিছু মানুষের মধ্যে ওজনের ওপর প্রভাব দেখা যায়। আপনিও যদি অনেক দিন ধরে এর ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ওজন কমে যেতে পারে।
- পায়খানার সমস্যা দেখা দিতে পারে- কোঁচ ব্যবহার করলে বহু মানুষের পায়খানার সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি এটির ব্যবহার করেন তাহলে সাবধানটা গ্রহণ করুন।
- অন্ত্র গতি বৃদ্ধি পায়- এর খাওয়ার ফলে অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি পায়, ফলে রক্তচাপ এবং রক্তবাহী পদার্থ হ্রাস পায়। তাই এটি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন।
এটি সেবন করার পর কিছু জিনিস ত্যাগ করুন। যেমন কোঁচের বীজ খাওয়ার পর আপনি টক, মশালাদার এবং শুকনো খাবার খাবেন না। এটি রক্ত শর্করার স্তর কমিয়ে দেয়। তাই কোঁচ সেবনের পর এগুলি খাবেন না।
অনেক সময় কোঁচের ব্যবহার করলে অনেক মানুষের মাংশপেশির মধ্যে অনিচ্ছুক গতি দেখা যায়। এটি ব্যবহার করার সময় আপনার হাত-পায়ে নানান অসুবিধা দেখা দিতে পারে, তাই সাবধান থাকুন। এই সব রোগের রোগীরা কোঁচের ব্যবহার করবেন না। যেসব রোগীদের হৃদরোগ, গ্লুকোমা, কিডনির রোগ, লিভার ও মানসিক সমস্যা আছে তাদের এই বীজ ব্যবহার করার আগে সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে, যাতে পরে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।
কিছু জরুরী সাবধানতা- কোঁচের বীজকে শিশুদের থেকে দূরে রাখুন। গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যপান করানো মহিলারা কোঁচ দ্বারা তৈরি কোন ঔষধ গ্রহণ করবেন না। যদি দরকার পড়ে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পুনশ্চঃ যতটা সম্ভব সাবধানতা গ্রহণ করুন, এবং সম্ভব হলে কোন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে খাওয়া শুরু করুন।