গমের ঘাসের উপকারিতা এবং অপকারিতা
গমের ঘাসকে সাধারণত গমের সাথেই উৎপাদন করা হয়। বহু বছর ধরে গমের ঘাসের রসকে এক শক্তিশালী পানীয় রুপে বিবেচিত করা হয়। গমের ঘাসে অনেক খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যানজাইমা রয়েছে । গমের ঘাস থেকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে রয়েছে। এতে পটাসিয়াম, ফাইবার, ভায়ামিন, ভিটামিন বি ৬, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, আয়রন, জস্তা, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম পাওয়া যায়।
এটি হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে, রক্ত শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে, দাঁতের ক্ষয়কে রোধ করতে, দ্রুত ঘা শোকাতে এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিছু মানুষ, সাদা চুলকে রোধ করতে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে ব্যবহার করেন।
গম ঘাসের উপকারিতা
- চর্মরোগ এবং ঘা’র চিকিৎসা করার জন্য- একজিমা, সোরিয়াসিস এবং অন্যান্য চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের কোষগুলিকে দ্রুত পুনর্জীবিত করে দাগ এবং চর্মরোগের চিকিৎসা করে।
- হজমে সাহায্য করে- গমের ঘাসের রসে অ্যানজাইমা, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি রয়েছে যা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি আলসার, জ্বালাভাব, ইত্যাদির চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ক্যানসার প্রতিরোধ করে- এটি রক্তকে পরিষ্কার করে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি রক্তে অক্সিজেন ধরে রাখার ক্ষমতার কারণে ক্যানসার থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
- প্রতিরোধ এবং শক্তি ক্ষমতা উন্নত করে- এটি লাল রক্ত কনিকার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক। গমের ঘাসে উপস্থিত ক্লোরোফিল রক্তে অধিক অক্সিজেন প্রদান করতে সাহায্য করে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় উন্নতি আসে।
- সাইনাসের সমস্যার সমাধান করে- এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং জ্বালা, ফোলাভাব কম করতে সাহায্য করে।
- উর্বরতা এবং কামশক্তি বাড়ায়- এতে ‘পি ৪ ডি ১’ নামক উপাদান আছে যা শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং প্রজনন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- যকৃতকে পরিষ্কার করে- এর বিষম গুণ, পৌষ্টিক গুণ এবং অ্যানজাইমার সাথে এটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের পুনরস্থাপিত এবং পুনর্জীবিত করতে সক্ষম।
- চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে- এটি রুক্ষ-শুষ্ক চুলের জন্য উপকারী। এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে সাদা হতে দেয় না।
- চিন্তা কম করে- এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন চিন্তা দূর করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখাতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে- গমের ঘাসের রস থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের সাহায্যে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গমের ঘাসের অপকারিতাঃ
গমের ঘাস সাধারণত সুরক্ষিত কিন্তু অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত হবার সম্ভাবনা থাকে। খুব কম মানুষ গমের ঘাস থেকে প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া পেয়েছে যার মধ্যে অ্যালার্জি প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত। এটা বোঝা খুব দরকার যে, এটা খুব শক্তিশালী তাই অধিক মাত্রায় এটি সেবন করলে এটা হালকা বমি বমি ভাব বা মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যখন ব্যক্তি নিয়মিতরূপে এটি পান করা শুরু করেন।
গমের ঘাসের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
- বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যথা
- অ্যালার্জি
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা